তিন পাখি শিকারির অর্থদণ্ড

Spread the love

ফ্রন্টিয়ার রিপোর্ট :

ফাঁদ পেতে পাখি শিকারের দায়ে তিন পেশাদার শিকারিকে ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান।

আজ ২৪ নভেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় উপজেলা হুলহুলিয়া ও সারদানগর ডুবন্ত সড়কের বড়িতলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এই রায় প্রদান করা হয়।

এসময় উদ্ধারকৃত ১৫টি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি অবমুক্ত ও প্রায় ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জালের ফাঁদ পুড়িয়ে ফেলা হয়।

এর আগে ভোর ৫টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পরিবেশবাদী সংগঠন ‘চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি হাসান ইমামের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের দুটি টিম সারদানগর, হুলহুলিয়া ও মুষ্ঠিগড় বিলে অভিযান পরিচালনা করে। সংগঠনের সদস্যরা প্রায় চার কিলোমিটার কাঁদা-পানি মাড়িয়ে সাত পাখি শিকারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করেন। এদের মধ্যে মুষ্ঠিগড় গ্রামের পেশাদার পাখি শিকারি আব্দুর রাজ্জাক (৬৫) এবং হুলহুলিয়া গ্রামের লুৎফর রহমান লতু (৫৪) ও মজু সরদার (৭৫) এই তিনজনের ৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও একই গ্রামের পাখি শিকারি সজিব ও তুহিন এবং দুই কিশোরকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

‘চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, বর্ষার শেষ ভাগে এবং শীতের শুরুতে অল্প পানিতে মাছের সাথে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে চলনবিল। আর সেই সাথে এক শ্রেণির পাখি শিকারিদের তৎপরতা দেখা যায়। বিলের পাখি ও প্রকৃতি বাঁচাতে তারা রাত-দিন বিলের দুর্গম এলাকায় ছুটে চলেছেন।

সিংড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল ইমরান বলেন, পাখি ও প্রকৃতি বাঁচাতে বিলের দুর্গম এলাকায় স্থানীয় পরিবেশ কর্মীদের সাথে নিয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours