শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন

Spread the love


অনলাইন ডেস্ক॥

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘জনগণের অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যু কাজে লাগিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে চক্রান্তের জাল বিছিয়েছে। সারাদেশে একটি পরিকল্পিত নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে। জনগণের মনে অসহিষ্ণুতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিতাড়িত স্বৈরাচার দেশে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে কিনা সরকারকে এ বিষয়টিও গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ তিনি শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানান।
দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে তারেক রহমান এই কথাগুলো বলেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বিবৃতিটি প্রেরণ করেন।
তিনি বলেন, সরকার দেশ পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে না পারলে জনগণ অসহিষ্ণু হয়ে উঠতে পারে। পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা জনগণের অসহিষ্ণু হয়ে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিতাড়িত স্বৈরাচারের পলায়নের পর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে একদিকে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে অধিকার বঞ্চিত মানুষের চাওয়া পাওয়ার হিসেব, অপরদিকে পলাতক স্বৈরাচারের প্রতিশোধের আগুন। সব মিলিয়ে দেশে ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজমান। পলাতক স্বৈরাচার গত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অনিয়মের পাহাড় তৈরি করেছিল। কেড়ে নিয়েছিল জনগণের সকল অধিকার। সেই হারানো অধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা আর অনিয়মের পাহাড় ভাঙতে স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ দাবি দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে আসছে।’ তিনি বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতা আর অবৈধ সুবিধা হারানো পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে জনগণের দাবি আদায়ের এই আন্দোলনকে সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে। আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘গত কয়েকদিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার অবকাশ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারীদের অপতত্পরতা উদ্বেগজনক হয়ে দেখা দিয়েছে। মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে জনতার আন্দোলনে যেই শিক্ষার্থীরা সামনের কাতারে থেকে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলো, হঠাৎ করেই এখন তারা কেন একে অপরের বিরুদ্ধে এতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠলো?- জনমনে এই প্রশ্নটিই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। ছাত্র-জনতার এমন একটি সফল গণঅভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীরা কেন শিক্ষাঙ্গনে ভাংচুর চালাবে ? কেন আগুন ধরিয়ে দেবে ? এসব ঘটনা স্বাভাবিকভাবে দেখার সুযোগ নেই। জনগণের যৌক্তিক আন্দোলন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কেউ ‘সাবোটাজ’ করছে কিনা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে এটি নিবিড়ভাবে তদন্ত করতে হবে। পরিস্থিতির ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।’

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours