অনলাইন ডেস্ক॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার বিচার ও গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামের শতাধিক মানুষ। রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুনিয়াউক বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অভিযুক্ত মো. শাহাবুদ্দিন দানু গুনিয়াউক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের আমলে শাহাবুদ্দিন দানুর দ্বারা গ্রামের অনেক নিরীহ মানুষ নির্যাতিত হয়েছেন। রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে মানুষের জায়গা দখল ও প্রতিপক্ষকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে সাবেক এই ছাত্রলীগ বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে সাবেক ইউপি সদস্য পারুল বেগম বলেন, বিগত ১৫টি বছর আমরা এই দানুর জন্য বাড়িতে ঘুমাতে পারি নাই। আমাকে ও আমার স্বামী-সন্তানকে এতদিন মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে রেখেছিল এই দানু। আমরা এই দানুর হাত থেকে রক্ষা পেতে চাই।
বিবেকের তাড়নায় নিহতের মায়ের খোঁজখবর নিতে আসা : ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার
ভুক্তভোগী একেএম মামুন আলী বলেন, বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে দানু আমার জায়গা দখল করে আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। ওর অত্যাচারে আমরা এলাকা ছাড়া ছিলাম। এখনও তার অত্যাচার থেকে আমরা রেহাই পাচ্ছি না। একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে সে আমাদেরকে হয়রানি করে যাচ্ছে।
বর্তমান ইউপি সদস্য মালেক মিয়া জানান, দানুর কথা বলে শেষ করা যাবে না। শিক্ষককে সবাই সম্মান করে কিন্তু সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। সে মাস্টার না, মাস্টার লীগ। স্কুলে গিয়ে নামটা লিখেই চলে আসে। গ্রামে তার লাঠিয়াল বাহিনী আছে। কিছু হলেই মানুষের উপর হামলা করে। জোর পূর্বক মানুষের জায়গা দখল সে। প্রতিবাদ করলেই মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। অসুস্থ, বৃদ্ধ মানুষও তার মামলার অত্যাচার থেকে রেহাই পায় না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ওই ছাত্রলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন দানু বলেন, এদের অভিযোগ সম্পূূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আমাকে ফাঁসানোর জন্য তারা এই মানববন্ধনের আয়োজন করেছে, আমি শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত হওয়ার আগে ছাত্রলীগ করতাম এখন রাজনীতি করি না। আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকের পক্ষে মামলা হয়েছিল, তখন আমরা আসামীদের ধরেছিলাম। আজকে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের বিষয়টি শুনেছি। সূত্র: যায়যায়দিন।
+ There are no comments
Add yours