স্বামীকে ৯ টুকরো করে সেপটিক ট্যাংকে ফেললেন স্ত্রী

Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মোহাম্মদ ইদ্রিস॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে ৯ টুকরো করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২ অক্টোবর) তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের ফরদাবাদ গ্রাম থেকে অরুণ মিয়া নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, প্রায় ৩৫ বছর আগে প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফরদাবাদ গ্রামের তারু মিয়ার মেয়ে মোমেনা বেগমকে বিয়ে করেন অরুণ মিয়া। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকতো। অরুণ-মোমেনার দুই ছেলে ও এক কন্যা আছে। গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হন অরুণ। তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল সোমবার বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে অরুণ মিয়ার পাশের বাড়ির সৌদি প্রবাসী মনির হোসেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। টর্চ লাইট দিয়ে ট্যাংকের ভেতরে দেখে পলিথিন মোড়ানো কয়েকটি বস্তু দেখতে পায় তারা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম, ছেলে রাসেল এবং মেয়ে লাকী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন নিহতের স্ত্রী মোমেনা বেগম। তিনি জানিয়েছেন, গত শুক্রবার কলহের একপর্যায়ে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করলে অরুণ মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে লাশ নিজেই ৯ টুকরো করে পলিথিনে করে ইট মুড়িয়ে পাশের বাড়ির মনিরের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours