অনলাইন ডেস্ক ॥
নেত্রকোনা জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি সৌন্দর্যে ঘেরা একটি এলাকা হলো পাঁচগাঁও, যা রংছাতি ইউনিয়নে অবস্থিত। দূর থেকেই পাহাড়গুলো দেখে মনে হয় সেগুলো মেঘের সঙ্গে মিশে রয়েছে। অনেকে পাহাড় দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান। সড়কের দু’পাশেই বিল আর সামনের দিকে পাহাড়গুলো দেখা যায়। এর উত্তরে গারো পাহাড়ের পাদদেশে ডিঙ্গাসদৃশ পাহাড়টি চন্দ্রডিঙ্গা নামে পরিচিত। বর্তমানে স্থানটিতে ৭টি পাথরের নৌকার আকৃতি টিলা আছে। গারো পাহাড়ের ছোট ছোট অংশগুলো স্থানীয়ভাবে টিলা নামেও পরিচিত, চারপাশে সমতল ভূমির মাঝখানে অবস্থিত এই টিলা। টিলার পাদদেশেই বাস করে হাজং ও গারো উপজাতিরা। টিলাগুলো অনেক সুন্দর একেবারে সবুজের সমারোহ বললেই চলে। স্থানীয়দের মতে, ভারতের পাশে পাহাড়ে এখনও হাতির দেখা মেলে। ছোট-বড় কিছু প্রাণী আছে এই টিলাগুলোতে। টিলার পাদদেশের মেঠো পথ ধরে বিখ্যাত বটগাছ। ঝিরিপথ দিয়ে ঝরনার দিকে গিয়ে ঝিরিতে পা রাখা মাত্রই হাঁটার ক্লান্তি দূর হয়ে যায়! এতো শীতল, নির্মল, আরামদায়ক একটা পরিবেশ বর্ণনা করা কঠিন। ঝরনার অবিরাম স্রোতধারা আর মনোরম দৃশ্য আমাদের মনকে জুড়িয়ে দেয়। ঝরনার পানি পাহাড় থেকে পড়তে দেখাটা অনেকটা আনন্দের। টিলার উপরে দাঁড়িয়ে আছে নাম না জানা কতশত গাছপালা। সৃষ্টিকর্তার অপরূপ সৌন্দর্য কাছ থেকে না দেখলে বোঝার উপায় নেই।
নিচে রয়েছে উপজাতিদের চায়ের দোকান। সেখানে বসে লোকজন আড্ডা দিচ্ছে। পাহাড়ের উপরে গেলে এক স্বর্গীয় অনুভুতিতে মনটা ভওের যায়। কারণ সেই পাহাড়ের অনেক নিচে মেঘ ঝুলে আছে। যারা পাহাড়ে উঠেছেন, তারা তখন মেঘের চেয়েও অনেক উপরে।
+ There are no comments
Add yours