পরিকল্পনা কমিশনের উপপ্রধান হলেন উপসচিব মো: আ: কুদদূস

Spread the love


নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ পরিকল্পনা কমিশনের উপপ্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত উপসচিব মো: আ: কুদদূস। গতকাল রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মিঞা মুহাম্মদ আশরাফ রেজা ফরিদী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এমন তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপসচিব মো: আ: কুদদূসকে উপপ্রধান হিসেবে পরিকল্পনা কমিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য পরিকল্পনা বিভাগে সংযুক্তি করা হলো। সেখানে বলা হয়, জনস্বার্থে এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত: উপসচিব মো: আ: কুদদূস ইতিপূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
একজন অহিংস চোখের মানুষ, কবি,গীতিকার ও কবিতাবিষয়ক গবেষক উপসচিব মো: আ: কুদদূস এর ইতোমধ্যেই প্রায় ১০টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ছোটদের জন্য তিনি একটি ব্যতিক্রমী ছড়ার বই লিখেছেন। সাম্প্রতিক কবিতা এবং কবিতা বিষয়ে তাঁর অগাধ জানাশোনা বাংলা সাহিত্যে তাঁর একটি স্বাতন্ত্র ধারা এবং নিজস্ব অবস্থান তৈরি করবে এমনটাই মনে করা হয়।
সংস্কৃতির রাজধানীখ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মকালীন সময়ে তিনি মঙ্গল সাহিত্য আড্ডার প্রচলন করেন। প্রতি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এখানকার সকল শ্রেণিপেশার সংস্কৃতিজন একত্রিত হয়ে মেতে ওঠেন আড্ডায়। কবিতা ও সাহিত্যের অন্যান্য বিষয়ে তাঁর কথা গুলো অমর হয়ে থাকবে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। অত্যন্ত সৃজনশীল পরোপকারী এই মানুষটি বিশ্ববিশ্রুত ব্যক্তিত্ব অদ্বৈত মল্লবর্মণ এর সাহিত্য কর্মকে আরও বেশি করে বিকশিত করতে অদ্বৈত মল্লবর্মণ এর জন্মভিটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গোকর্ণঘাটে গড়ে তুলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র। এই সংগঠণের উদ্যোগে এবং তাঁর একক প্রচেষ্ঠায় এখানে বইমেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও নিয়মিত প্রকাশনার ব্যবস্থা করেন তিনি। এখানকার সংস্কৃতিজনদেরকে তিনি বিভিন্ন সময় দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার ব্যবস্থা করে সংস্কৃতির একটা গণজাগরণ সৃষ্টি করেছেন তাঁর নেতৃত্বে। এক কথায় সকল ভালোর সাথে আলোর পথে হেঁটেছেন তিনি। দিয়েছেন হৃদয় উজার করে- বিনিময় প্রত্যাশা করেননি কোনোদিন। তাঁর অমর কর্মের মধ্যে অন্যতম হলো- এখান বেশকিছু উদ্যমী কবি-সাহিত্যিকের অনুরোধে তিনি তাঁদেরকে হাতে কলমে কবিতা লেখার কৌশল শিখিয়েছেন। দীর্ঘদিন তিনি এই কাজটি করে ইতোমধ্যেই এই জেলায় বেশকয়জন কবিতাপ্রেমিকে কবিতার কাতারে পৌঁছে দিতে পেরেছেন। যে কাজটি ইতিপূর্বে এখানে আর হয়নি।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours