সালমান শাহের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন নীলা চৌধুরী

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ ঢাকাই চলচ্চিত্রের এক ক্ষণজন্মা সুপারস্টার। ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন সালমান শাহ। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মাত্র সাড়ে তিন বছরে উপহার দেন ২৭টি ব্যবসাসফল ছবি। তবে ধূমকেতুর মতো আসা এই মহানায়কের ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ মৃত্যুর খবরে হতবাক হয়ে যায় গোটা দেশের মানুষ।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর সেই কালজয়ী নায়কের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। কিন্তু সেদিন তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিল, ২৮ বছর পর আজও জানা গেলো না সেই রহস্য। মামলার তদন্তভার বারবার বদল হলেও, এখনও রয়ে গেছে ধোঁয়াশা। যদিও ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআইয়ের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার জানান, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন। তাকে খুন করা হয়নি। চিত্রনায়িকা শাবনূরের সঙ্গে বেশ ভালো সম্পর্কের কারণে স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ থেকেই আত্মহত্যা করেছেন এ নায়ক।
তবে সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন- এ কথা মানতে নারাজ অভিনেতার মা নীলা চৌধুরী। মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে ফের ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেছেন তিনি। নীলা চৌধুরীর দাবি, তার ছেলে আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সম্প্রতি লন্ডন থেকে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সালমান শাহ আত্মহত্যা করেনি। এ হত্যার বিচার প্রয়োজন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে দেশে ফিরিয়ে আনা হোক। আগে একটা মাফিয়ার আন্ডারে ছিলাম। এখন আমরা মুক্ত। আমরা বলতে চাই, আমি কথা বলব।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে একজন জানান, আমাকে পৃথিবী থেকে উঠিয়ে দেয়ার একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে অথবা গুম করা হবে আমাকে। তখন বলি মানুষকে আবার গুম করে কীভাবে? ওই সময় তো গুম সম্পর্কে জানতাম না। এখন বুঝছি যে গুম হচ্ছে আয়নাঘর। অনেক সময় দলের অনেক বড় বড় নেতাদের দেখতাম। তারা হঠাৎ করেই আমার বাসায় চলে আসতো। একদিন বিষয়টি খটকা লাগে আমার কাছে। তারা কেন আমার বাসায় এত আসে? তখন একদিন হাসান মাহমুদকে আমি বলি, যখন-তখন কেন চলে আসো? তো তিনি বলে যে আপা একটু চা খেতে আসি। তাকে বলি যে, আমি এসব পছন্দ করি না।’
এছাড়া সালমান শাহর হত্যার ব্যাপারে তার স্ত্রী সামিরা সম্পর্কে নীলা চৌধুরী বলেন, ‘সামিরা তিনটি বিয়ে করল। সে যে খারাপ তা প্রমাণ হয়ে গেছে। একটি ঘরে থাকতে পারেনি সে। তার বাবাও অনেক কিছু করেছে। ইদানিং তাদের দেখা যাচ্ছে না। তার মা, সে সালমান শাহ হত্যা মামলার আসামি। অথচ একটা আসামিকেও কখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো না। তাদের আটক করা হলো না। হত্যা মামলার আসামি হলে তো সঙ্গে সঙ্গে আটক করা হয়। এরপর আইন যা বলবে তাই হবে। কিন্তু তা হয়নি।’
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার সম্পর্কে নীলা চৌধুরী বলেন, তাদের সঙ্গে বনজ কুমারের সম্পৃক্ততা ছিল। এই বনজ কুমারকে তারা অনেক টাকা দিয়েছে। সুকুমার রঞ্জন একজন সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি আমাকে হুমকি দিয়েছিলেন। সালমান শাহ মৃত্যুর পর আমরা জেনেছিলাম যে, ভারতীয় কাউকে ভাড়া করে এনে সালমান শাহকে হত্যা করিয়েছে তারা।
সূত্র : চ্যানেল ২৪।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours