ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে মশলা

Spread the love

দেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। এই রোগে আক্রান্ত একটা বড় অংশেরই সুগার নিয়ন্ত্রণে নেই। যার কারণে তাদের পিছু নেয় কিডনি ডিজিজ, ডায়াবেটিক আই, নিউরোপ্যাথির মতো জটিল অসুখ। তাই যেভাবেই হোক সুগারকে কন্ট্রোলের কাজে লেগে পড়তে হবে।
আর এই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে সবার প্রথমে মিষ্টি, তেল, মশলা খাওয়া ছাড়তে হবে। তার বদলে নিজের ওষুধ নিয়ম মেনে খান। আর অবশ্যই প্রতিদিন সেবন করুন জিরার মতো একটি উপকারী মশলা। তাতেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
​ডায়াবেটিসে সেরার সেরা ওষুধ​
সুগার রোগীদের শরীরে এজিইএস বা অ্যাডভান্স গ্লাইকেশন অ্যান্ড প্রোডাক্ট নামক উপাদান তৈরি হয়। আর এই উপাদান শরীরের বড়সড় ক্ষতি করে। বিশেষত চোখ, কিডনি ও নার্ভের ক্ষতির নেপথ্যে মূল ভূমিকা পালন করে এই উপাদান। তবে ভালো খবর হলো, নিয়মিত জিরা খেলে শরীরে এই উপাদান কম পরিমাণে তৈরি হয়।
যার ফলে ডায়াবেটিসজনিত ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, এই ভেষজে উপস্থিত কিছু উপাদানের গুণে সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুবিধা হয়। তাই ডায়াবেটিক রোগীরা নিয়মিত জিরে সেবন করতে ভুলবেন না যেন।
কীভাবে খাবেন​
উপকার পেতে চাইলে এক চা চামচ জিরা এক গ্লাস পানি দিয়ে গিলে নিতে পারেন। কিংবা এক গ্লাস পানিতে এক চামচ জিরে সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিন।
পরের দিন সকালে উঠে এই পানীয় ছেঁকে খেয়ে নিন। তাহলেই উপকার মিলবে হাতেনাতে।
তবে শুধু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণই নয়, এর পাশাপাশি শরীরের নানা উপকার করে জিরা। আসুন সেই দিকেও একবার তাকানো যাক।
পেটের সমস্যা দূর করবে​

গ্যাস, অ্যাসিডিটির সমস্যায় নিত্যদিন ভুক্তভোগীরা খেতেই পারেন জিরা। তাতেই গ্যাসের সমস্যা বিদায় নেবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আসলে জিরাতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরে প্রবেশ করার পর হজমে সাহায্যকারী বিভিন্ন উৎসেচকের উৎপাদন বাড়ায়। শুধু তাই নয়, লিভার থেকে বাইল ক্ষরণেও সাহায্য করে জিরা। যার ফলে খাবার হজম হতে সময় লাগে না। তাই এই সমস্যায় ভুক্তভোগীরা নিয়মিত জিরা সেবন করতে ভুলবেন না।
আয়রনের ঘাটতি দূর করবে​
​আমাদের দেশের একটা বড় অংশের মানুষ আয়রন ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। তাই চিকিৎসকেরা সকলকে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। আমাদের রান্নাঘরে থাকা জিরাতে বেশ কিছুটা আয়রন রয়েছে। এক্ষেত্রে এক চা চামচ জিরা থেকে প্রায় ১.৪ মিলিগ্রাম আয়রন পাওয়া যায়। যা কিনা আপনার দৈনিক চাহিদার ১৭.৫ শতাংশ। তাই অ্যানিমিয়ার ফাঁদ এড়াতে চাইলে নিয়মিত এই ভেষজ সেবন করতে ভুলবেন না।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours