অনলাইন ডেস্ক॥
সাম্প্রতিক সময়ে সবার মুখে মুখে ফিরছে একটি শব্দ- ‘জেন-জি’। ‘জেনারেশন জেড’কে সংক্ষেপে এভাবে ডাকা হয়। সময় পরিবর্তনের নায়ক এই প্রজন্ম। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন থেকে শুরু; তারপর সরকার পতন এবং সরকার গঠনের মতো বড় সাফল্যও দেখিয়েছে এই প্রজন্ম। প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা এই প্রজন্মের তরুণ-তরুণীরা আগের যে কোনো প্রজন্মের একই বয়সে আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি সফল। অনেকের মতে, ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত যাদের জন্ম, তারাই মূলত ‘জেন-জি’। জেন-জিদের বয়স এখন ১২ থেকে ২৭ বছরের মধ্যে। এ বয়সে জেন-জিরা যতটা অর্থসম্পদের মালিক; বুমার্স, জেনারেশন এক্স বা মিলেনিয়ালদের কেউই এতটা ধনী ছিলেন না। ২৫-এর ভেতর বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যাও বাড়ছে। আর তাদের ৮০ শতাংশের বেশি প্রথম প্রজন্মের ধনী। বেশিরভাগ জেন-জি মনে করেন, আয়ের উৎসগুলোকে বহুমুখী করে ফেলা এখন সময়ের দাবি মাত্র। কেননা, করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়ে তারা দেখেছেন, কিভাবে বিনা নোটিসে যে কারও চাকরি চলে যেতে পারে। কিভাবে হুট করে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে যেতে পারে একটা মানুষ! জেন-জির কাছে নিরাপত্তার অর্থই অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। আগের প্রজন্ম জেন-জিদের অলস ভেবে থাকে। তবে জেন-জিদের বিশ্বাস, এর উল্টোটাই সত্য। পরিশ্রম করার সঙ্গে সঙ্গে তারা কিভাবে ‘পরিশ্রমকে যথেষ্ট পরিমাণ টাকায় পরিণত করবেন, সে বিষয়েও অন্যদের তুলনায় সচেতন। যে পরিশ্রমে অর্থ নেই, সেই পরিশ্রমে জেন-জিদের আগ্রহ নেই। আর বিশেষজ্ঞদের মত, এমনটাই হওয়া উচিত।
+ There are no comments
Add yours