বেতাগীর সেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এবার গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ

Spread the love

ফ্রন্টিয়ার রিপোর্ট :

ঘুস গ্রহণের ভিডিও ভাইরালের পর এবার বরগুনার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফাহমিদা লস্করের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার নির্যাতিত আসমা বেগম নামে ওই গৃহকর্মী (চুক্তিবদ্ধ) বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

তদন্ত করে ফাহমিদা লস্করের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছে উপজেলা প্রশাসন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বেতাগী সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা আনিচুর রহমানের স্ত্রী আসমা বেগম গত চার বছর যাবত বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সরকারি কোয়ার্টারে বেসরকারিভাবে চুক্তিবদ্ধ মাসিক বেতনে গৃহকর্মীর কাজ করেন। গত ৭ নভেম্বর স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ঘুস গ্রহণের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় বরিশাল বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয় কর্তৃক দ্বিতীয়বারের মতো তদন্তে আসে তদন্ত কমিটি। এ সময়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সরকারি কোয়ার্টারে গৃহ পরিচর্যা ও রান্নার কাজ করছিলেন আসমা বেগম।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসপাতালে যাওয়ার সময় ওই গৃহকর্মী তার কাছে বেতনের টাকা চাইতে গেলেই তিনি উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করেন। একপর্যায়ে চুলের মুঠি ধরেন এবং ঘাড় ধাক্কা দিয়ে কোয়ার্টার থেকে বের করে দেন। তাকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার তদন্ত চলে আর আমাকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিস? এরপর হাসপাতালের সীমানার মধ্যে ঢুকলে জুতা দিয়ে পেটাব।’

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার মাসিক বেতন চুক্তি হয়েছিল ৪৫০০ টাকা, সেখানে তাকে কোনো মাসে ১৫০০/২০০০, আবার কোনো মাসে ২৫০০ টাকা দিতেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। আবার যখন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছুটিতে থাকতেন সেই বেতনও দিন হিসাব করে কেটে রাখতেন।

অভিযোগকারী আসমা বেগম বলেন, আমি হাসপাতালের মধ্যে অন্যান্য ডাক্তার স্যারদের জন্যও রান্না করতাম, কিন্তু এই এক সপ্তাহ যাবত হাসপাতালে ঢুকতে দিচ্ছেন না স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর।

তিনি আরো বলেন, আমার দুই হাতে এই হাসপাতালে অনেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তার জন্য খাবার রান্না করেছি, কিন্তু তার মতো এমন নোংরা আচরণ কাউকে করতে দেখিনি। আমি এর বিচার দাবি করছি।

ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার এক গরিব নারীর সঙ্গে এমন আচরণ করা একদম ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে একাধিকবার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. ফাহমিদা লস্করকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours