বিশেষ প্রতিবেদক॥
সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরোকান্দা গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজের সংযোগ সড়ক মেরামত করছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও নিভৃতচারী সমাজসেবক আব্দুল মালেক। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরোকান্দা গ্রামের এই একটি মাত্র গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ দিয়ে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষ আসা যাওয়া করে থাকেন। কিন্তু এই ব্রিজটির সংযোগ সড়কটি থেকে মাটি সরে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছিলো। দীর্ঘদিন যাবৎ ভেঙে যাওয়া অংশের কারণে এই জায়গা ও ব্রিজটি দিয়ে মানুষ এবং যান চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হতো। ইতোমধ্যেই নিভৃতচারী সমাজসেবক আব্দুল মালেক এর বেশ কয়েকটি জনকল্যাণমুলক কাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তারই ফলশ্রুতিতে মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসেন আব্দুল মালেক। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিভৃতচারী সমাজসেবক আব্দুল মালেক ওই ব্রিজটির গোড়ায় ইট ও বালির সাহায্যে বিশাল বড় গর্তটি ভরাট করে দিয়েছেন। এরফলে সাধারণ মানুষ এখন নির্বিঘ্ন চলাফেরা করতে পারছে। অনেকেই এসময় একজন সমাজসেবক আব্দুল মালেককে একনজর দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেছেন। অনেকেই তার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করছেন।
আর এভাবেই ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের মাধ্যমে সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নকে বদলে দিতে কাজ করছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক। ব্যক্তি উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যেই তিনি যে সমস্ত কাজ বাস্তবায়ন করেছেন, তার খবর ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। একজন নিভৃতচারী সমাজসেবক আব্দুল মালেক এর এই সমস্ত সমাজসেবামুলক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। তারা আব্দুল মালেক এর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেশ কয়েকটি কারণে এই মুহূর্তে সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মানুেষর কাছে প্রিয় একটি নাম-নিভৃতচারী সমাজসেবক আব্দুল মালেক। তিনি নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের কৃতিসন্তান। বিগত এক বছরে তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে এবং নিজস্ব অর্থায়নে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন কর্ম সাধন করে মানুষের মাঝে আস্থার বাতিঘর হিসেবে পরিচিতি রাভ করেছেন। এই মুহূর্তে তিনি সরাইলবাসীর কাছে অনন্য এক সমাজসেবক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। প্রথমত তিনি কাটানিসার গ্রামে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক তাঁর নিজ উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করেছেন। এটি সড়ক নির্মানের আগে একটি আইল ছিলো। ফলে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুেষর কষ্টের কারণ ছিলো। সড়কটি নির্মাণ ও পরবর্তী রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেওয়ায় এলাকাবাসীর বেশ উপকার হয়েছে। তারা এখন ইচ্ছেমতো শান্তিতে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন। এদিকে তার নজরে পড়ে যে, নোয়াগাঁও ইউনিযনের প্রধান সড়ক বাড়িউড়া থেকে কালীকচ্ছগামী সড়কটি কয়েক মাস আগেও ছিলো বেশ এবড়ো থেবেড়ো। বিভিন্ন স্থানে ছিলো বড় বড় গর্ত। সেসব গর্তে পড়ে মানুষ আহত হয়েছে। তিনি নিজ চোখে এহেন ভাঙা সড়কে মানুষের যাতায়াতের কষ্ট দেখে, নিজে তা মেরামতের উদ্যোগ নেন। দিনের পর দিন সেখানে নিজে উপস্থিত থেকে ট্রাক্টর দিয়ে আদলা ও খোয়া এনে পুরো সড়কটি মেরামত করেছেন। এদিকে বিগত ১০০ বছরের মধ্যে এই এলাকায় নেই কোন সড়ক, লাহোর নদীতে নেই কোন ব্রিজ। আজ এতো বছর পর লাহোর নদীর দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ হচ্ছে। তাই দেখতে দলে দলে লোকজন আসছেন। তারা প্রাণভরে দোয়া করছেন একজন নিভৃতচারী সমাজসেবক আবদুল মালেক এর জন্য। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নবাসীর অভাবনীয় স্বপ্নপূরণের মাধ্যমে উন্নয়নের আরো একটি নতুন সড়ক নির্মাণ বাস্তবায়নে কাজ করছেন দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্যবসায়ী মহলের পরিচিত মুখ, অত্র এলাকার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর দুই ঈদের নামাজ পড়তে তাদেরকে নোয়াগাঁও- ইসলামাবাদ ঈদগাহ মাঠে যেতে হয়। একদিকে কাটানিসার, আইরল, ও কানিউচ্চসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এবং অপরদিকে ধল্লা, তেরকান্দা, কুচনি-বুড্ডা, জারুল্লাহ হাটিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে এই লাহোর নদী পার হয়ে যেতে হয় ঈদের সামাজে। কিন্তু লাহোর নদীর উপর কোনো ব্রিজ না থাকায় যাতায়াতে তাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। শত সমস্যার মাঝেও গ্রামের মানুষ দুটি ঈদেই নোয়াগাঁও- ইসলামাবাদ ঈদগাহ মাঠে গিয়ে নামাজ আদায় করে থাকেন। তারা আরো জানান, উল্লেখিত কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের কৃষি কাজ শেষে ফসল ঘরে তোলা এবং দৈনন্দিন কাজে যাতায়াত করতে হয় এই নদীর উপর দিয়েই। কিন্তু এই দুই এলাকার সংযোগস্থল হিসেবে লাহোর নদীতে কোনো ব্রিজ না থাকায় সারা বছরই দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এখানকার হাজার হাজার মানুষকে। এখানে কাপড় না ভিজিয়ে নদী অতিক্রম করার কোনো উপায় নেই এই।
ইতোমধ্যেই কাঁটানিশার এলাকায় নিভৃতচারী সমাজসেবক আবদুল মালেক তার নিজ অর্থায়নে এবং ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন। এবিষয়টি এখন সরাইল তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর মুখে মুখে। ফলশ্রুতিতে লাহোর নদীর এই সমস্যাটি নিয়ে এই নদীর দুই পারের বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, এই এলাকার কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক এর সাথে আলাপ করেন এবং এলাকাবাসীর উন্নয়নে আবারও নতুন নতুন সড়ক নির্মাণের মতো কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান।
সেই প্রেক্ষিতে, লাহোর নদীর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও নিভৃতচারী সমাজবেক আব্দুল মালেক। তারই অংশ হিসেবে গত ১৯ মে ২০২৪ খ্রি. রবিবার সকালে লাহোর নদীতে নদীর দুই পারের সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। প্রথম দিন কাজ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ার পরপরই একটি অত্যাধুনিক মাটি কাটার যন্ত্র ভেকু দিয়ে তিনি মাটি কাটার কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রসঙ্গত: আব্দুল মালেক কাটানিসার গ্রামের কৃতি সন্তান। ব্যবসার সুবাদে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ তার নিজস্ব বাসভবনে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তিনি গত প্রায় এক বছর ধরে এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডে অবস্থিত দি ঝুমুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক আবাসিক হোটেল, এ মালেক কনভেনশন হল এন্ড কমিউনিটি সেন্টার। এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক। জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এএমটিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাছাড়াও তিনি ব্যবসায়ী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন সম্মানিত পরিচালক। তিনি দেশীবিদেশী বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে মানবসেবা করে যাচ্ছেন।
+ There are no comments
Add yours