বাংলাদেশে বিদেশী পানি: ৫০০ মিলিলিটারের পানি বিক্রি হচ্ছে ২১৫ টাকায়

Spread the love

বাংলাদেশ পানি আমদানি করে! কারা পান করে এই পানি!

সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় পানি আমদানি হচ্ছে। বছরে লাখ ডলার ব্যয় হচ্ছে বোতলজাত পানি আমদানিতে। আপনি হয়তো কথাটি শুনে কিছুটা অবাক হয়েছেন। কিন্তু এটা সত্য। দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদন বলছে, বাংলাদেশে দুই ধরনের পানি আমদানি হয়।এক. প্রাকৃতিক খনিজ পানি। দুই. বিশুদ্ধ পানি। সুপারশপ ও অভিজাত স্টোরে পাওয়া যায় এই পানি, যা মূলত ব্যবহৃত হয় পাঁচ তারকা হোটেল ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানে। বাংলাদেশে আসা বিদেশি ও উচ্চবিত্তরাও এই পানির বড় গ্রাহক। তথ্যমতে, বাংলাদেশে পানি আমদানি শুরু হয় প্রায় ২৫ বছর আগে। শুরুতে বিদেশি বোতলজাত পানির ব্যবহার ছিল খুবই কম। তবে ধীরে ধীরে আমদানি করা পানির ব্যবহার বাড়তে থাকে। বর্তমানে ২০-২২টি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে পানি আমদানি করছে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় ফ্রান্সের এভিয়ান ব্র্যান্ডের বোতলজাত পানি। ফ্রান্সের আল্পস পর্বতের ঝরনার পানি প্রাকৃতিকভাবে পরিশোধন করে বোতলজাত করে এভিয়ান কোম্পানি। বিশ্বখ্যাত এই ব্র্যান্ডের প্রাকৃতিক পানির কদর সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া ফিজি, একুয়া পান্নাসহ নানা ব্র্যান্ডের বোতলজাত পানিও আমদানি হচ্ছে। মূলত ৩৩০ মিলিলিটার, ৫০০ মিলিলিটার ও দেড় হাজার মিলিলিটারের বোতলে পানি আমদানি হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গত পাঁচ বছরের পানি আমদানির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরে গড়ে সাড়ে তিন লাখ লিটার বিদেশি বোতলজাত পানি আমদানি হচ্ছে দেশে। এর মধ্যে অবশ্য গত বছর পানি আমদানি কিছুটা কমে গেছে। গত বছর বোতলজাত পানি আমদানি হয়েছে ২ লাখ ৩৫ হাজার লিটার। গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি পানি আমদানি হয়েছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর আমদানি হয়েছিল ৫ লাখ ১৪ হাজার লিটার। মূলত বাংলাদেশে ফ্রান্স, ফিজি ও ইতালির পানিই বেশি আমদানি হচ্ছে। এসব পানি বেশি আমদানি হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্য থেকে।
গত পাঁচ বছরের হিসাবে, গড়ে প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখ লিটার বিদেশি বোতলজাত পানি ব্যবহার হচ্ছে দেশে। আমদানি করা বোতলজাত পানির পরিমাণভেদে গড় দাম কমবেশি হয়। যেমন ৫০০ মিলিলিটারের পানি বিক্রি হচ্ছে ২১৫ টাকায়। দেড় লিটারের পানি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ১৬ কোটি টাকার বাজার রয়েছে বিদেশি পানির।
তারকা হোটেলে যে বিদেশি অতিথিরা থাকেন, তাঁরা সব সময় বিদেশি পানি পান করেন। এ ছাড়া কিছু প্রবাসী বাংলাদেশিও দেশে এলে বিদেশি পানি পান করেন। এই গ্রাহকদের চাহিদার কারণে তারকা মানের হোটেলগুলোতে আমদানি করা পানি রাখতে হয়। এ চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours