চাঁদে কেনো ‌‘টাইম জোন’ চায় নাসা

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক::

চাঁদে বিশেষ টাইম জোন করার জন্য নাসাকে দায়িত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এর নাম দেয়া হবে কোঅর্ডিনেটেড লুনার টাইম জোন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পলিসি জানিয়েছে, চন্দ্রপৃষ্ঠ নিয়ে গবেষণা ও মহাকাশ যাত্রার নানা বিষয়ে এই সময়রেখা কাজে আসবে।
চাঁদে বিভিন্ন মহাকর্ষীয় শক্তির ক্ষেত্র কাজ করার কারণে, পৃথিবীর তুলনায় সেখানে সময় প্রায় ৫৮.৭ মাইক্রোসেকেন্ড দ্রুত চলে প্রতিদিন। খুব বেশি কিছু মনে না হলেও, মহাকাশযানের সাথে সামঞ্জস্যতা করার ক্ষেত্রে সময় উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখে।
মার্কিন সরকার আশা করছে, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে চাঁদে পৌঁছানোর মধ্যে সমন্বয় সহজতর করার জন্য নতুন এ টাইম জোন কাজে দেবে।
স্কটল্যান্ডের অ্যাস্ট্রোনমার রয়্যাল, প্রফেসর ক্যাথরিন হেইম্যানস বিবিসি রেডিও ফোরের টুডে প্রোগ্রামকে বলেছেন, ‘আমাদের মহাবিশ্বের মাধ্যাকর্ষণের মৌলিক তত্ত্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো মহাবিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সময় ভিন্নভাবে চলে। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি কিছুটা দুর্বল। আর সেখানে সময়ও চলে ভিন্নভাবে।’
বর্তমানে আমাদের গ্রহের চারপাশে স্থাপিত শত শত পারমাণবিক ঘড়ি দ্বারা পৃথিবীতে সময় পরিমাপ করা হয়। পরমাণুর পরিবর্তিত শক্তির অবস্থা পরিমাপ করে ন্যানোসেকেন্ডে সময় রেকর্ড করতেই ব্যবহার করা হয় এই পারমাণবিক ঘড়িগুলো। তবে চাঁদে যদি এই পারমাণবিক ঘড়ি স্থাপন করা হয়, তবে তা পৃথিবীর ঘড়ির তুলনায় ৫০ বছরের ব্যবধানে প্রায় এক সেকেন্ড দ্রুত গতিতে চলবে।
নাসার যোগাযোগ ও নেভিগেশন কর্মকর্তা কেভিন কগিন্স বলেন, ‘চাঁদে স্থাপন করা পারমাণবিক ঘড়ি পৃথিবীর ঘড়ির চেয়ে ভিন্ন গতিতে ঘুরবে। সে কারণে চাঁদ বা মঙ্গলের মতো প্রতিটি মহাজাগতিক বস্তুর নিজস্ব টাইমকিপিং সিস্টেম থাকা যৌক্তিক।’

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours