বর্ষবরণে প্রস্তুত রমনা বটমূল

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥
রমনার বটমূল থেকে গান, কবিতায় বরণ করা হবে বাংলা নতুন বছর ১৪৩১। এখন চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।
আগামীকাল ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ৩০টি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাবেন ছায়ানটের শিল্পীরা। ভোরের আলো ফুটতেই আহীর ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে এবারের নতুন বছর আবাহনের শুরু হবে। পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। আজকের মহড়ায় সেই গানগুলোই গাওয়া হয়।
মহড়ার সঙ্গে ছিল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি। ২০০১ সালে রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। সেই তৎপরতা ছিল আজকের মহড়াতেও। বোমার বিস্ফোরণের শব্দ তৈরি করে র‍্যাবের মহড়াও দেওয়া হয়। এ সময় ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ রাখা হয় মঞ্চে অনুশীলন।
ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী প্রথম আলোকে বলেন, এমন নিরাপত্তাবেষ্টনীর মধ্যে সাংস্কৃতিক আয়োজন শিল্পী ও দর্শক-সবার জন্যই অস্বস্তিকর। তবে পরিস্থিতি মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই।
রমনার বটমূলে মূল আয়োজনটি হলেও পুরো রমনায় শব্দযন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। একটু পরপর বসানো হয়েছে মাইক। যাতে দূর থেকেও শোনা যায় বর্ষবরণের আহ্বান। এদিকে রমনার বটমূলের নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করতে সেখানে আছেন র‌্যাবের সদস্যরা। এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি। আছে ডগ স্কোয়াড।
ছায়ানটের যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সংস্কৃতির সম্পর্ক তৈরি করতে না পারাতেই আজকের এ সংকট। শিল্পীদের গান গাইতে হবে নিরাপত্তাবেষ্টনীর ভেতরে থেকে।’
দেশের অন্যতম প্রধান সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র এবং সংগীতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের আয়োজনে বর্ষবরণের সংগীতানুষ্ঠান হয়ে আসছে ১৯৬৭ সাল থেকে। এরপর কেবল ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ অনুষ্ঠান হয়নি। করোনা মহামারির সময় দুই বছর হয়েছে অনলাইনে। তা ছাড়া কখনো রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজনে ছেদ পড়েনি।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours