জানা যায়, ১০ মিটার গভীরতায় প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে উত্তোলনের পর নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বালুর বাজারমূল্য যেখানে ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা। সেখানে সমপরিমাণ এলাকা থেকে প্রাপ্ত খনিজের বাজার মূল্য তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। কীভাবে কোন প্রক্রিয়া কোন প্রতিষ্ঠান এসব খনিজ আহরণ করবে, তা গবেষণার মাধ্যমে নির্ধারণ করবে সরকারের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
বলছিলাম, ব্রহ্মপুত্র নদের গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার শুকনো মৌসুমে জেগে থাকা বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে কীভবে বিপুল পরিমাণ মূল্যবান খনিজ সম্পদের সন্ধান মিলেছে তার কথা। জানা গেছে, নদীর চরর এ অংশে বালুর ১০ মিটার গভীরে প্রতি বর্গ কিলোমিটার এলাকায় মিলবে ৩ হাজার ৬৩০ কোটি টাকার খনিজ সম্পদ। দীর্ঘ সময়ের গবেষণার পর এমনটাই জানিয়েছে খনিজ সম্পদের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারোলজি অ্যান্ড মেটালার্জি’র গবেষকরা। মূল্যবান খনিজ পদাথের মধ্যে রয়েছে, ইলমিনাইট, রুটাইল, জিরকন, ম্যাগনেটাইট, গারনেট ও কোয়ার্টজ। এর মধ্যে রং, প্লাস্টিক, ওয়েলডিং রড, কালি, খাবার, কসমেটিকস ও ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় রুটাইল। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইতালি, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিয়েরা লিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মূল্যবান এই খনিজটি সারা বিশ্বে রপ্তানি করে থাকে। খনিজ সম্পদ নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান জানান, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার নদ-নদী অববাহিকায় যেসব চর রয়েছে সেগুলো নিয়ে আমরা জিওফিজিক্যাল সার্ভে করেন। কোন জায়গায় কোন ধরনের মিনারেলস আছে, এটার প্রাথমিক স্টাডি ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়। সেই প্রকল্প অনুযায়ী ২০২০ সালে জয়পুরহাটে একটি খনিজ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এখানে গবেষণা করে ব্রহ্মপুত্র নদে মূল্যবান খনিজগুলোর সন্ধান মেলে।
+ There are no comments
Add yours