অনলাইন ডেস্ক॥
ইউরোপ মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি। অবাক করা ব্যাপার হলেও ঘটনা এমন যে, সেখানে বিয়ের জন্য পুরুষ খুঁজে পেতে হতাশ হতে হয়। পাত্র সংকটের কারণে এসব নারীরা বিয়ে করতে পারছেন না। নারী -পুরুষের এই ভারসাম্যহীনতার প্রমাণ পাওয়া যায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ বেশি। যে দেশগুলোতে পুরুষ থেকেও নারীর সংখ্যা বেশি- তাদের মধ্যে তালিকার শীর্ষে আছে রাশিয়া। তারপর আছে, লাটভিয়া, বেলারুশ, লিথুনিয়া, আর্মেনিয়া, ইউক্রেন। তাই এসব দেশে বিয়ের জন্য পুরুষের সংকট দেখা দিয়েছে। সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে এসে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে প্রায় দুই দশক হতে চললো। কিন্তু পুঁজিবাদি ব্যবস্থায় এখানকার নারীরা যতোটা এগিয়েছেন, ততোটাই পিছিয়ে পড়ছেন সেখানকার পুরুষরা। পুরুষদের চেয়ে নারীদের সেখানে গড় আয়ু এগার বছর বেশি। আর দিনে দিনে এসব দেশগুলোতে নারী-পুরুষের মধ্যে এক সামাজিকভারসাম্যহীনতা দেখা দিয়েছে।
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, এসব দেশগুলোতে মেয়েরা যে বয়সে সংসার গড়ার জন্য তৈরী হয়, সেই বয়সে দেখা যায় ছেলেরা হয় মারা যাচ্ছে নয়তো আত্মহত্যা করছে। আর এই আত্মহত্যার সংখ্যা হচ্ছে তাদের স্বাভাবিক মৃত্যুর চারগুণ।
নারী-পুরুষের ভারসাম্যহীনতা প্রথম বোঝা যায় ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়েসীদের মধ্যে। কারণ ওই বয়সে যে কজন মেয়ে মারা যাচ্ছে, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি মা’রা যাচ্ছে ছেলেরা। এর অর্থ হচ্ছে, ওই বয়েসীদের মধ্যে গাড়ী দুর্ঘটনা, মাদকাসক্তি, কর্মস্থলে দুর্ঘটনা ইত্যাদির ক্ষেত্রে মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের ঝুঁকি বেশী। এসব কারণে এ দেশগুলোতে বিয়ের জন্য নারীরা পাত্র পেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours