দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ২০৫ রানের লিড বাংলাদেশের

Spread the love

স্পোর্টস ডেস্ক :
দ্রুত দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। অভিজ্ঞ মুমিনুল ৪০ রানে ফিরলেও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯২ বলে সেঞ্চুুরি তুলে নিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

শতক হাঁকাতে শান্ত খেলেছেন ৯টি চারের মার। তার সেঞ্চুরির উপর ভর করে ২০৫ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান। শান্ত খেলছিলেন ১০৪ রান নিয়ে, অপরপ্রান্তে ৪৩ রান নিয়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম।

এর আগে ২৬ রানে ছিল না ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে ভালো একটা অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর মুমিনুল হক। ২ উইকেটে ১১১ রান নিয়ে বাংলাদেশ যায় চা-বিরতিতে।

এরপর জুটি গড়েন শান্ত ও মুমিনুল। দারুণভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল দুই ব্যাটারের জুটিটি। অপ্রত্যাশিত রানআউটের মাধ্যমে শতরানের (৯০) কাছাকাছি এসে ভেঙে যায় পার্টনারশিপ। ভুল বোঝাবুঝিতে ৬৮ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান মুমিনুল।

দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে লাঞ্চের আগে বেশ দেখেশুনে খেললেও বিরতির পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি জাকির আর জয়। ৩০ বলে ১৭ রান করে অ্যাজাজ প্যাটেলের অনেক বেশি টার্ন করা বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন জাকির।

৪৬ বলে ৮ রান করে জয় হয়েছেন দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার। সাউদির বলে ড্রাইভ খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, বল বোলারের হাত স্পর্শ করে ভেঙে যায় ননস্ট্রাইকের স্টাম্প। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে শান্ত-মুমিনুলের জুটি।

প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড খুব বড় পার্থক্য গড়তে পারেনি বাংলাদেশের সঙ্গে। লিড নিয়েছে মাত্র ৭ রানের। জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বেশ সাবধানী শুরু করেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় আর জাকির হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে ১০ ওভারে মোটে ১৯ রান তুলে তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছিলেন তারা।

এর আগে দ্বিতীয় দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৬৬ রান। কিউইরা পিছিয়ে ছিল ৪৪ রানে। স্বীকৃত ব্যাটার বলতে কেউই নেই।

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ছোট করে হলেও লিড পেতে যাচ্ছে, ধরে নিয়েছিলেন সমর্থকরা। তবে তাদের সেই আশায় গুঁড়েবালি। কাইল জেমিসন আর টিম সাউদির মতো লোয়ার অর্ডার দুই ব্যাটার নবম উইকেটে দলকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ৫২ রান।

নবম উইকেটে টিম সাউদি আর কাইল জেমিসনের এই জুটিটাই ক্ষতি করে দিলো বাংলাদেশের। নাহলে টাইগাররা প্রথম ইনিংসে লিড পেতে পারতো।

সেটি হয়নি। তবে নিউজিল্যান্ডও যে বড় লিড নিয়েছে, তা নয়। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানের জবাবে ১০১.৫ ওভার খেলে ৩১৭ রানে অলআউট হয়েছে কিউইরা। তাদের লিড ৭ রানের।

তৃতীয় দিনের সকালে প্রথম ঘণ্টা অনায়াসেই পার করে দেন সাউদি আর জেমিসন। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে ট্রাম্পকার্ড মুমিনুল হকের হাত ধরেই সাফল্য পায় টাইগাররা। এক ওভারে জেমিসনকে (২৩) এলবিডব্লিউ আর সাউদিকে (৩৫) বোল্ড করেন বাঁহাতি এই পার্টটাইম স্পিনার।

তাইজুল ইসলাম ১০৯ রানে ৪ উইকেট আর মুমিনুল হক ৪ রানে নেন ৩টি উইকেট।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours