দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় পোনা জব্দ ও অবমুক্ত

Estimated read time 1 min read

বিশেষ প্রতিনিধি॥

দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় শোল, গজার ও টাকি মাছের পোনা বেচা-কেনা বন্ধে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে। তারই অংশ হিসেবে বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় স্থানীয় কে, দাস মোড়, আনন্দ বাজার, কালীবাড়ি মোড় থেকে প্রায় তিন কেজি পোনা জব্দ করে তিতাস নদীর আনন্দ বাজার ঘাট ও কুরুলিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক ও জেলা নদী রক্ষা কমিটির সদস্য শামীম আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে তরী’র সদস্য সুশান্ত পাল, মো. আব্দুল হেকিম, সদর উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. আরিফ নুরুল আমিন, ছাত্র প্রতিনিধি শাহ আলম পালোয়ান, আরমানুর রহমান, জাহিদ হাসান, আফরান আহমেদ খোকন উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের ক্ষেত্র সহকারী মো. হামিদুল হক, অফিস সহায়ক মো. হাকিম মিয়া প্রমুখ।
এসময় তরী বাংলাদেশ এর আহবায়ক শামীম আহমেদ বলেন, বর্ষার শুরুতেই সারাদেশে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করা উচিৎ এ সময়ে অসচেতনতার কারণে জেলেরা অবাধে শোল, গজার ও টাকি মাছের পোনা ধরছে এবং রাস্তার মোড়ে মোড়ে বেচা-কেনা হচ্ছে। আমরা মূলত জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছি। সকলে সোচ্চার ও সচেতন থাকলে নদীমাতৃক বাংলাদেশে দেশীয় মাছের অভাব থাকবে না। আমরা তরী বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষজনকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি।
সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি, যা আমাদের চলমান কাজের অংশ। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। আমরা আশা করছি এ ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে আমাদের নদ-নদী, খাল-বিলে দেশীয় মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় আমাদের কার্যক্রম চলবে।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours