চিন্ময়ের গ্রেপ্তার ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের ব্যাখ্যা নিয়ে জাতিসংঘে বিবৃতি

Spread the love


অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহল অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন, জাল প্রতিবেদন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জেনেভায় সংখ্যালঘু ইস্যুতে জাতিসংঘ ফোরামের ১৮তম অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিশেষ করে সরকার চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করার বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বিবৃতি দিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অধিবেশনে জেনেভায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ আবারও নিশ্চিত করে যে, প্রত্যেক বাংলাদেশির ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে, নিজ নিজ ধর্ম পালন বা স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মূল ভিত্তি। এটি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নেতাদের বারবার আশ্বস্ত করেছে এবং সরকারের প্রথম ১০০ দিনে প্রমাণ করেছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকে দুজন উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশে ৫ আগস্টের পরের সহিংসতার মূলে ছিল রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কারণ, সাম্প্রদায়িক নয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর কোনো পরিকল্পিত হামলা হয়নি। বরং জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে কীভাবে আমাদের দীর্ঘ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য অনুসরণ করে বাংলাদেশের সমগ্র সমাজ তার সংখ্যালঘুদের রক্ষায় এগিয়ে এসেছিল। প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বাধীন আমাদের সরকার সকল ধর্মের মানুষের কাছ থেকে অপ্রতিরোধ্য এবং অভূতপূর্ব ম্যান্ডেট উপভোগ করে। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের জনগণ যখন ধর্মীয় সম্প্রীতির গৌরবময় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তখন আমরা সংখ্যালঘু নিপীড়নের বিষয়ে স্বার্থান্বেষী মহল কর্তৃক অতিরঞ্জিত, ভিত্তিহীন ও জাল প্রতিবেদন এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য ও বিভ্রান্তির ছড়ানো হচ্ছে। দুঃখের বিষয়, আমরা এই ফোরামেও এটি দেখেছি। এ ধরনের অনেক অপপ্রচারকে বৈশ্বিক গণমাধ্যমে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার বাস্তব পরিস্থিতি দেখতে বিদেশি সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফরে স্বাগত জানাতে উন্মুক্ত রয়েছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অত্যন্ত হতাশার সাথে, আমরা লক্ষ্য করছি যে শ্রী চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেপ্তারকে কিছু বক্তা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন, তাকে আসলে নির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে বিচার করা হচ্ছে। একজন মুসলিম আইনজীবীর সাম্প্রতিক নৃশংস হত্যাকাণ্ড সত্ত্বেও আমাদের সরকারের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ এবং সকল ধর্মের নেতাদেরশান্ত রাখতে এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সাহায্য করেছে। আমাদের সরকার সজাগ রয়েছে এবং যেকোনো মূল্যে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে ও সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করার যেকোনো প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে কাজ করে যাবে।’

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours