তিতাস নদীর বুকে ইটের ভাটা

Spread the love


জুলকার নাঈন, সরাইল॥

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের হাওর এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ এই ইটভাটা সম্প্রসারণের জন্য ভরাট করা হয়েছে তিতাস নদের বিরাট অংশ। ছবিটি গত বুধবার তোলা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের হাওর এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ এই ইটভাটা সম্প্রসারণের জন্য ভরাট করা হয়েছে তিতাস নদের বিরাট অংশ। ছবিটি গত বুধবার তোলা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকায় সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই অঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত ইটভাটা ‘মেসার্স জিসান ব্রিকস’। ৬০০ শতক জায়গা জুড়ে স্থাপিত ঐ ভাটার পূর্ব পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে তিতাস নদে ইটভাটাটি ক্রমশ নদে দখল করে ফেলছে। বালু ফেলে তিতাস নদের প্রায় ৫০-৬০ ফুট অংশ ইতিমধ্যে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। আর ভরাট করা জায়গায় ৩টি’র শ্রমিকদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, তৈরি করা হচ্ছে ইটও।
জানা গেছে, ধর্মতীর্থ এলাকায় সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে ফাতেমা বেগম শিউলী আজাদ গংদের জায়গা ভাড়া নিয়েইটভাটাটি চালাচ্ছেন মো, আমির হোসেন নামে এক বাক্তি। নদ দখলে পিছিয়ে নেই আশপাশের আরো কয়েকটি হায়েটাও। ফলে নম হারিয়েছে নাব্য। অতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবেশ।
নদে শ্রমিকদের জন্য খোলা ল্যাট্রিন করায় পানি দূষিত হচ্ছে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ ভাটার ঘটি ফেলে সড়কসংলগ্ন সরকারি খালটিও দখল করে নিয়েছে। ভরাটের পর সেখাত পর সেখনে উঁচু করে রাখা হয়েছে উদ্বৃত্ত মাটি। ফলে এখন আর ২ খালটির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। । ইটভাটায় মানসম্মত কয়লা ব্যবহার না করায় উড়ছে কালো ধোঁয়া। এতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। আর এর ফলে হুমকির মুখে পড়বে ফসলি জমি।
ইটভাটার ব্যবস্থাপক মো. নবী হোসেন বলেন, আগে যিনি ইটভাটার মালিক ছিলেন তিনিই নদের ভেতরের অংশ ভরাট করেছেন। আমরা খুব বেশি জায়গা ভরাট করিনি।
এদিকে প্রায় একই প্রক্রিয়ায়ই চলছে শাহজাদপুর ইউনিয়নের শাহজাদাপুর, দেওড়া, নিয়ামতপুর ও ধাউরিয়া এলাকার বেশ কয়েকটি ইটভাটা। জানা গেছে, সরাইল উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটার লাইসেক, পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদপত্র ও উৎপাদনের অনুমতিপত্র নেই। কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালীরা বছরের পর বছর চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদপত্র ও উৎপাদনের অনুমতি ছাড়া কেউ ইট উৎপাদন করতে পারেন না। আর নদী দখল করা বেআইনি কাজ। আমরা খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি দেখছি। সূত্র: ইত্তেফাক অনলাইন।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours