অনলাইন ডেস্ক॥
মাছ শিকারীরা জানান, তারা পেশাদার শিকারি নন, তবে মৌসুমী শিকারি। প্রতিবছর হেমন্তকাল এলেই তারা জেলার বিভিন্নস্থানে মাছ শিকারে নামেন। নিতান্তই শখের বশে মাছ ধরেন তারা। যতো বেশি এবং যতো বড় মাছই তারা শিকার করেন না কেন তা তারা কখনো বিক্রি করেন না। অনেকে মাছ না পেয়ে ফিরে যান খালি হাতে। আসা-যাওয়ার সময় ছাড়াও নষ্ট হয় ভাড়ার টাকা। তবু তাদের দুঃখ নেই। সুখ একটাই, সবাই এক সঙ্গে মাছ ধরার উৎসবে মাতেন।
প্রাচীনকাল থেকে জেলায় মাছ ধরার এ ‘বাহুত উৎসব’ বা ‘বাহৈত উৎসব’ চলে আসছে। ছেলে-বুড়ো সব বয়সী মানুষ এই মাছ শিকারে অংশ নেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীতে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছেন শতাধিক সৌখিন মৎস্য শিকারী।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসব শিকারিরা প্রতিবছর হেমন্তকালে মাছ ধরার উৎসবে নামেন জেলার পাহাড়ি নদী ভোগাইসহ বিভিন্ন নদ-নদী, খাল ও বিলে। স্থানীয়ভাবে এ উৎসবের নাম দেওয়া হয়েছে মাছ ধরা বা ‘বাহুত উৎসব’। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ভোগাই নদীতে উৎসবে নামেন শতাধিক সৌখিন মাছ শিকারি।
বুধবার দুপুরে নালিতাবাড়ী উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া পাহাড়ি নদী ভোগাইয়ে পলো, খেয়া জাল, ছিপ জালসহ মাছ ধরার নানা ধরনের সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নামেন তারা। নদীর একেবারে উত্তরে ভারতঘেঁষা নাকুগাঁও এলাকা থেকে এসব শিকারি একযোগে পুরো নদী বেষ্টনী দিয়ে মাছের সন্ধান করতে করতে এগিয়ে আসেন ভাটির দিকে। কারো জালে বা পলোতে ধরা পড়ে এ নদীর সুস্বাদু মাছ হিসেবে পরিচিত বোয়াল, আইড়, ঘাওরাসহ নানা প্রজাতির মাছ, কারো ভাগ্যে কিছুই জুটেনি।
+ There are no comments
Add yours