অনলাইন ডেস্ক॥
“বান্দরবান”- নামটা শুনলেই সবসময় মনের ভেতর কোথায় যেন একটা কৌতূহল জাগে। উঁচু উঁচু পাহাড়ের সবুজ গাছগাছালি আর ফাঁকে ফাঁকে বয়ে চলা সাঙ্গু নদীর এক অদ্ভুত ছবি ভেসে আসে। দেশের সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ আর অপরূপ কিছু ঝর্ণা বান্দরবনকে পর্যটকদের কাছে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। তাজিওডং, কেওক্রাডং, নাফাখুম, বগালাকে, জাদিপাই সহ বান্দরবনের আরও অনেক জানা অজানা জায়গা ভ্রমনপিপাসু আর অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের মাথা নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। সবুজে ঘেরা শান্ত প্রকৃতির মত যে এখানকার মানুষগুলোও এত শান্ত, নিরীহ ও অতিথিপরায়ণ সেটা একবার বান্দরবন না ঘুরে আসলে কেউ বলতে পারবে না। অন্যান্য পার্বত্য জেলাগুলোর তুলনায় এখানে পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদের মাঝে যে ভাতৃত্ব তা আসলেই প্রশংসার দাবি রাখে। এটি এমন এক জায়গা, যেখানে নিজে না গেলে কারো মুখে শুনে জায়গাটার সৌন্দর্যকে অনুভব করা সম্ভব নয়। কেওক্রাডং যাওয়ার পথে বগালেক পরে। বগালেকের আশেপাশের কথা বাদ দিলে সব থেকে মজার আর অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হল এখানকার মানুষের জীবন জীবিকা অর্জন ও বেচে থাকার অতিসহজ ও সাধারণ উপায়। এত কষ্ট করে বেচে থাকার মাঝেও তাদের মুখে সবসময় এক অদ্ভুত হাসি লেগে থাকে। ছেলে মেয়ে, ভাইবোন আত্মীয় স্বজন নিয়ে এত সুখী জীবন আমাদের শহুরে কারাবন্দী মানুষদের কাছে কল্পনারও অনেক ধাপ উপরে। বগালেক জায়গাটার অধিবাসী মূলত পাহাড়ি ‘ব্যোম’ উপজাতি। বিদ্যুৎ নেই, খাবার পানির সমস্যা, নেই শহুরে আধুনিকতার ছোঁওয়া। তারপরও কীভাবে যে তারা এত শান্তিতে থাকে সেটা আসলেই বিস্ময়কর। সন্ধ্যা হলেই ছেলে-বুড়ো, মা, মেয়ে ভাইবোন সবাই একসাথে মেতে উঠে আডডায়। সাথে সাথে চলতে থাকে নিজেদের লিখা ও সুর করা মায়াময় কিছু গান। গানের কথার কিছু না বুঝলেও অদ্ভুত ধরনের সুর এক মনোরম পরিবেশের সাথে পরিছয় করিয়ে দিবে আপনাকে।
+ There are no comments
Add yours