শফিকুল ইসলাম বাদল, নবীনগর প্রতিনিধি॥
দীর্ঘ ২০ বছর পরে দেশে ফিরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকসহ সফর সঙ্গী হিসাবে দেশে ফিরেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃতি সন্তান শাহ মোঃ ইব্রাহিম। গত রবিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। তার আগমন উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপি ও যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
যুক্তরাজ্য কৃষক দলের সদস্য সচিব শাহ ইব্রাহিম বলেন, আপনারা দেখেছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা চোরের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গর্তে ঢুকে পড়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমরা এই মাটির ভূমিপুত্র, আমরা এই মাটিতে ফিরে এসেছি। জনগণ এখন তারেক রহমানকে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে দেখতে চাই। এমএ মালিকের সফরসঙ্গী হিসেবে দেশে ফিরেছেন যুক্তরাজ্য জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সদস্য সচিব, যুক্তরাজ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয়তাবাদী ফোরামের আহবায়ক শাহ মো ইব্রাহীম মিয়া। তিনি এর আগে এবছরেই ১৯ সেপ্টেম্বর দেশে এসেছিলেন। এবারে তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর পর বাংলাদেশে আসা যুক্তরাজ্য বিএনপি সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ মালিক ভাইয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে আসলেন। ঢাকা বিমানবন্দর থেকে তিনি সরাসরি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নয়াপল্টন কার্যালয়ে যান। তিনি জানান, ঢাকায় চারদিন অবস্থান করে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ১৭ অক্টোবর তিনি নিজের জন্মস্থান সিলেটে যাবেন। সেখানে দুই সপ্তাহ থাকবেন। সর্বশেষ ২০০৫ সালে দেশে এসেছিলেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার বাসিন্দা বিএনপি নেতা এমএ মালিক। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানলে পড়ে দেশে ফিরতে পারেননি তিনি। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই যুক্তরাজ্যে ধারাবাহিকভাবে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধী নানা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় এই যুবদল নেতা। ২০২৩ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে সফরকালে ওয়াশিংটনে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। সে সময় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার জন্য এমএ মালিককে আলোচনায় বসতে চায়ের দাওয়াত দেন শেখ হাসিনা। তা প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতির পাশাপাশি বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।
+ There are no comments
Add yours