যে কারণে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মণিপুরী শাড়ি

Spread the love


অনলাইন ডেস্ক॥
মণিপুরী জাতি ভারত ও বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র ও বৈশিষ্ট পুর্ণ জনগোষ্ঠীর নাম। এদের আদিনিবাস ভারতের মণিপুর রাজ্যে। বাংলাদেশের সিলেট জেলায় তাদের অধিক বসবাস। মণিপুরীদের নিজস্ব ভাষা, বর্ণমালা, সাহিত্য এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে। তাঁত শিল্পে রয়েছে তাদের প্রচুর খ্যাতি। তাদেরই হাতে বোনা এখনকার জনপ্রিয় এই মণিপুরী শাড়ি। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে মণিপুরী তাঁতীরা ব্যবসায়িক দিক বিবেচনা করে শাড়ি তৈরি শুরু করে। আজ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশে ও প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তাদের এই উৎপাদন। তার একমাত্র কারণ হলো মণিপুরী শাড়ির বৈচিত্রময় রঙের সংমিশ্রণ। শাড়িতে রঙের বাহার যে কারও নজর কাড়ে। মণিপুরী শাড়ির মূল বৈশিষ্ট্য হলো জমিনের রঙ থেকে পাড়ের রঙ গাড় থাকে। তাই দূর থেকে নজর কাড়ে। এর দুই পাড়ে মন্দিরের প্রতিকৃতি থাকে। প্রতিটি শাড়ির আঁচল, পাড় এবং জমিন তৈরি হয় উজ্জ্বল রঙের সুতা দিয়ে। সম্পূর্ণ হাতে বুনুন হয় বলে শাড়িগুলার এপিঠ-ওপিঠের কোনো পার্থক্য থাকে না। এবং শাড়িগুলোর কাজের নকশা একটার সাথে অন্যটার মিলও থাকে না। মণিপুরী শাড়িগুলোর যত্ন নেয়ারও রয়েছে কিছু নিয়ম, যা মেনে চললে একেকটা শাড়ি টিকে থাকে বহুদিন। আধুনিক যুগের ফ্যাশন সচেতন নারীরা উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরিধানে বেশি আগ্রহী। অনেকের ধারণা, রঙিন কাপড় পরা হলে মন প্রফুল্ল থাকে। শাড়ি যেহেতু বাঙালি নারীদের পোশাক সেই কারণে শাড়ি পরে সাজগোঁজকে তারা প্রাধান্য দিচ্ছেন বেশি। জামদানি বা মসলিন থেকে মণিপুরী শাড়ি অনেক সাশ্রয়ীও হয়। এখনও সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার ভেতরে আছে। একেকটি শাড়ির দাম ১২০০ টাকা থেকে ৬-৭ হাজার টাকায় কেনা যায়। তবে দাম নির্ভর করে থাকে সুতা এবং নকশার ওপর। শাড়ির চাহিদা বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যাপ্ত সুতার আমদানি না থাকায় যথেষ্ট পরিমাণ যোগান দিতে পারছেন না তাঁতীরা। যার কারণে শাড়ির দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours