আল আমীন শাহীন:
বাবা শব্দটি সর্বজন প্রিয় এবং শ্রদ্ধার। কিন্তু বা-বা এই শব্দটির ভিন্ন ব্যবহারে তা এখন আতংকের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় বা-বা খোর যারা তারাও ভয়ংকর। নেশাজাতীয় ট্যাবলেট ইয়াবার সংক্ষিত নামকরণ পরিচিতি হয়েছে বা-বা নামে। ইয়াবা সেবনকারীরা বা-বা খোর হিসেবে পরিচিত। ক্রমাগতভাবে ইয়াবা ওরুফে বা-বা (ইয়াবা) গ্রাস করছে কিশোর যুবক সহ বিভিন্ন বয়সীদের। অপরাধে জড়িত হওয়ার মানসিকতা সৃষ্টিতে এই নেশার প্রভাব রয়েছে। এই নেশায় আসক্তরা খুন সহ নানা ধরনের অপরাধ সংঘটিত করছে। আসক্ত হয়ে এই ট্যাবলেট না পেয়ে হিতাহিত জ্ঞান ভুলে যায় এবং যে কোন অপকর্মে আসক্তরা জড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন পরিবারে ইয়াবা নেশায় আসক্তরা পরিবারের মান সম্মান ক্ষুন্নই নয় পারিবারিক অশান্তি সহ দূর্বিসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে করছে। হুট করেই এই নেশার বিস্তৃতি ঘটেনি। প্রয়োজনীয় সময়ে প্রতিরোধ না করায় তা দিনে দিনে ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এমন কোন পাড়া মহল্লা নেই যেখানে ইয়াবা এবং ইয়াবা আসক্ত নেই। এই নেশার ব্যবসা করে কিছু মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হয়, কিন্তু গোটা সমাজ দেশের তারা ক্ষতি করে। এ নেশা এবং ব্যবসায় জড়িতদের মধ্যে কলংকিত সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা সহ নানা পেশাজীবি এবং প্রতিরোধকারীরাও জড়িত থেকে এর ব্যাপক বিস্তারে ভ’মিকা রেখেছে, যা এ জাতির জন্য দুঃখজনক ঘটনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় এই ইয়াবা ব্যবসায় “ভাই” নামের প্রভাব রয়েছে। এই ভাইয়েরা নিজেদের আধিপাত্য বিস্তারে স্বার্থের জন্য বা-বাকে এবং ব্যবহার করেছেন। বা- বা ব্যবসায় জতি এবং বাবা খোরদের প্রতিরোধ করা যেত না কারণ ছিল তারা কেনা না কোন ভাইয়ের লোক বলে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় কিশোর গ্যাংগএর উদ্ভব উৎপাত লক্ষ করা যায়। শহরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই হয় দিনে দুপুরে শুধুমাত্র শহরের হাসপাতাল রোডে গত এক মাসে ৬ জন ছিনতাই কারী জনতার হাতে আটক হয়েছে। পথচারীদের চলার পথে ছোঁ মেরে মোবাইল ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার সময় তারা ধরা পড়ে। ১১ অঅক্টোবর শহরের শিমরাইল কান্দি এলকায় দিনের বেলায় রিক্সা থামিয়ে মুনীপুর গ্রামের রাব্বি নামের এক দোকান কর্মচারীর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় ৬ কিশোর অপরাধী। এসব ঘটনার বর্নণায় শোনা যায় অপরাধীরা অধিকাংশই বা-বা নেশায় আসক্ত। হালদার পাড়ায় মৌলভীপাড়ায় ফিল্মি স্টাইলে বড় বড় বিল্ডিং এ চুরিতে জড়িত ছিল যে তারও পরিচিতি ছিল বা- বা খোর। তবে বিভিন্ন এলাকায় কথা বলে জানা গেছে বাসিন্দাদের চেয়ে তাদের সংখ্যা নগন্য তবে তা বাড়ছে। আর এই বিস্তারের বিষয়টিই বর্তমান সময়ে উদ্বেগজনক। বাড়তে বাড়তে তা যেন সবকিছু গ্রাস না করে সে ব্যাপারে সমি¥িলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এবং বা-বা ইয়াবা প্রতিরোধ বিনাশে যাদের উপর দায়িত্ব অর্পিত কার্যকরী পদেক্ষপ জরুরী।
+ There are no comments
Add yours