অনলাইন ডেস্ক॥
সমুদ্রের তলদেশে বসবাস করে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। সেখানে সমুদ্রে বসবাসকারী একটি অলস প্রাণীর নাম শাপলা পাতা মাছ।
নাতিশীতোষ্ণ সমুদ্রের অগভীর জলের মাছ এটি। তাই বেশিরভাগ সময়ই এরা নিষ্ক্রিয়ভাবে সময় কাটায়। এতটাই অলস যে সমুদ্রের বালুর ক্ষুদ্র কণা গায়ে এসে জমলেও স্থির থাকে। তবে জোয়ারের সময় এরা জোয়ারের সঙ্গে ভেসে বেড়ায়। মূলত এরা মাংসাশী প্রাণী। এরা গড়ে ১৫-২৫ বছর বাঁচে। সাড়ে ছ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া এ মাছের ওজন সর্বোচ্চ ৭৯০ পাউন্ড হতে পারে। এই মাছের চোখ তার দেহের সম্মুখভাগে অবস্থিত। মুখ, নাকের ছিদ্র এবং ফুলকা পেটের নিচে অবস্থিত। শিকার ধরতে শাপলার এ তীক্ষ্ণ চোখ ভীষণ কাজে আসে। এর বাহ্যিক আবরণ ‘লরেঞ্জিনির অ্যাম্পুলা’ নামক বৈদ্যুতিক সেন্সর দিয়ে আবৃত। শিকার কাছে এলে বৈদ্যুতিক শকের সাহায্যে শিকারকে ঘায়েল করে। এছাড়া দাঁতের সাহায্যে ছোট ছোট প্রাণীর খোলস, ঝিনুক চূর্ণবিচূর্ণ করতে পারে। শাপলা পাতা মাছ যখন নড়াচড়া করে; তখন নিজের শরীরকে ঢেউয়ের মতো উল্টে দিয়ে সাঁতার কাটে। সঙ্গে অন্য শাপলাও ঘুরে বেড়ায়। এদের চাবুকের মতো দেখতে লেজ সাঁতার কাটতে সাহায্য করে। এছাড়া লেজ তাদের সুরক্ষায় অনেক কাজে আসে। শাপলা পাতা মাছের লেজের কাঁটা খুব বিষাক্ত। কেউ এ বিষের সংস্পর্শে এলে মৃত্যুর আশঙ্কা আছে।
শাপলা পাতা মাছের চামড়া অর্থনৈতিকভাবে ভীষণ লাভজনক। এর চামড়া দিয়ে অনেক দেশে জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি বানানো হয়।
বাংলাদেশে শাপলা পাতা মাছ ধরা এবং বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
+ There are no comments
Add yours