বিশেষ প্রতিবেদক ॥ একের পর এক সড়ক নির্মাণ করছেন তিনি। আবার একের পর এক সড়ক মেরামতও করছেন তিনি। কেউ কোনো কাজের আব্দার করলে তা পূরণ করছেন। মানুষের উপকারে কাজ করাই তাঁর নেশার মতো হয়ে গেছে। আর তাই ধন্য ধন্য বলছেন এলাকার লোকজন। তাদের মতে, এমন মানুষ হয় না। কেউ বলছেন তিনি মহৎপ্রাণ মানুষ। কারো কাছে তিনি আল্লাহর তরফ থেকে উপকারী দূত। কারণ, এবার আরও দুটি সড়ক মেরামতের কাজে হাত দিলেন এই সময়ের ভাইরাল ব্যক্তি, নোয়াগাঁও ইউনিয়নবাসীর একান্ত আপনজন, নিবেদিতপ্রাণ সমাজকর্মি, মানব দরদি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল মালেক। তিনি তাঁর সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে অতি সম্প্রতি সরাইল উপজেলার নোয়াগাাঁও ইউনিয়নের নোয়াগাঁও জারুল্লাহাটি থেকে সূর্যকান্দি পর্যন্ত সড়কটির মেরামত করছেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই সড়ক মেরামতের কাজটি চলমান। আর গত দুদিন ধরে যে সড়কটির মেরামত করছেন সেটির নাম নোয়াগাঁও টু চওড়াগোদা সড়ক। এই সড়ক দুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন সরাইল, কালীকচ্ছ, এবং বাড়িউড়া যাতায়াত করে থাকেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এই সড়ক দুটি বেশ কয়েক বছর ধরেই যানবাহন এবং মানুষ চলাচলের প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছিলো। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ের অতি বৃষ্টিতে এই সড়ক দুটির বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এই গর্তের কারণে মানুষ ও যানবাহন চলাচলে বেশ ঝুঁিকপূর্ণ হয়ে ওঠে। প্রায়শই ছোট ছোট দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। এমতাবস্থায় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সড়ক দুটি মেরামতের জন্য এই সময়ের আলোচিত সমাজসেবক আব্দুল মালেককে অনুরোধ করেন। এলাকাবাসীর সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে সমাজসেবক আব্দুল মালেক সড়ক দুটি মেরামতের কাজে হাত দেন। মেরামতের কাজটিকে গতানুগতিক না করে কীভাবে টেকসই করা যায়, সেই বিষয়ে তিনি গুরুত্ব দেন। সাধারণ সড়কের মতো নয়, বরং ইটখোলা থেকে নিজ দায়িত্বে গুণগত মানসম্মত ইট এনে সড়ক মেরামতে হাত দিলেন আব্দুল মালেক। শুধু তাই নয়, কাজে যাতে কোনো কমতি না হয়, সেজন্য তিনি নিজ দায়িত্বে অর্থাৎ নিজে সাথে থেকে লোক দিয়ে মেরামত কাজটি সরাসরি তদারকি করতে লাগলেন। আর এভাবেই এগিয়ে চলেছে নোয়াগাাঁও জারুল্লাহাটি থেকে সূর্যকান্দি এবং নোয়াগাঁও টু চওড়াগোদা সড়ক দুটির মেরামত কাজ।
এবিষয়ে আব্দুল মালেক গণমাধ্যমকে বলেন, আমার এই মহতি কাজ এলাকার মানুষের কল্যাণে চলছে এবং চলবে। বিনিময়ে আমি মানুষের দোয়া আর ভালোবাসা চাই। আমি জানি মানুষের ভালোবাসার চেয়ে দামী কোনো বিষয় পৃথিবীতে নেই। আমি সবার কাছে দোয়া চাই। দোয়া চাই আজীবন যেনো মানুষের সেবা করতে পারি। সমাজসেবক আব্দুল মালেক বলেন, জগতের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারি। মানুষের উপকার হবে এমন যেকোনো ভালো কাজের সাথে আমি সবসময়ই থাকতে চাই। কারণ ভালো কাজ করা অত সহজ নয়। ভালো কাজ করতে শুধু টাকা থাকলে হয় না। বিশাল একটা মন আর সেই মনে থাকতে হয় মানুষকে ভালোবাসার প্রবল ইচ্ছা, তবেই মানুষ মানুষের জন্য কাজ করতে পারে। আমি বিশ্বাস করি ভালো কাজে ইচ্ছাই মানুষকে মহৎ করে তোলে।
প্রসঙ্গত: আব্দুল মালেক নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের কৃতি সন্তান। ব্যবসার সুবাদে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ তার নিজস্ব বাসভবনে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তিনি গত প্রায় দুই বছর ধরে এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডে অবস্থিত দি ঝুমুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক আবাসিক হোটেল, এ মালেক কনভেনশন হল এন্ড কমিউনিটি সেন্টার। এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক। জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এএমটিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাছাড়াও তিনি ব্যবসায়ী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন সম্মানিত পরিচালক। তিনি দেশীবিদেশী বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে মানবসেবা করে যাচ্ছেন।
+ There are no comments
Add yours