অনলাইন ডেস্ক॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু-দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সরাইল উপজেলা সদরের উচালিয়াপাড়া ও বাড্ডা পাড়ার মধ্যে এ সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষ চলাকালে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সরাইল থানা পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেননি পুলিশ।
পুলিশ এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার উচালিয়া পাড়ার গ্রামের মোটরসাইকেল চালক মো. আমান মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বড্ডাপাড়া গ্রামের এক ভ্যানচালক এরশাদ আলীর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এই খবর উভয় গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উচালিয়াপাড়া ও বড্ডাপাড়া গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩৬ জনকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বাকিদেরকে স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রথমে সরাইল থানা পুলিশ ও পরে সেনাবাহিনী সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দাঙ্গাবাজদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষ চলাকালে সরাইল নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কে অন্তত সাড়ে ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুর রাকিব জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। প্রায় বেশ কয়েক ঘণ্টা পর বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
সরাইল ইউএনও মো. মেজবা উল আলম ভূইয়া জানান, সংঘর্ষের পর পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কটি উভয় দিকের যান চলাচল করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
+ There are no comments
Add yours