নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের বীরযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং “সোনালী কাবিন” খ্যাত কবি আল মাহমুদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে গতকাল শনিবার, সকাল ১১ টায় শহরের মৌড়াইলস্থ কবি আল মাহমুদের কবরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা, কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রতীকী জাতীয় পতাকায় কবর আচ্ছাদন, বিএনসিসি কর্তৃক প্রতীকী গার্ড অফ অনার প্রদান এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিএনসিসি সদস্যরা গার্ড অফ অনার প্রদান করবেন। কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের পক্ষে জানানো হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, কবি আল মাহমুদের অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা এবং তাঁর সাহিত্য, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা।
কর্মসূচিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, সাংবাদিক কবি লেখক এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করেন। কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি জাতির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে তারা মনে করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্র জনতার জমায়েতের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হয়। এসময় সংগঠণের সভাপতি সাংবাদিক ও কবি ইব্রাহিম খান সাদাত এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবিদ রহিম বিজন, কবি মহিবুর রহিম, কবি রাবেয়া জাহান তিন্নি, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ দেশের জনগণকে কবি আল মাহমুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে অনুপ্রাণিত করবে এবং তাঁর অনন্য সাহিত্য ও সংগ্রামী জীবনের প্রতিফলন নতুন প্রজন্মের মনে গভীরভাবে প্রোথিত করবে।এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং দেশের মহান ব্যক্তিত্বদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগ্রত করবে। এসময় বক্তারা কবি আল মাহমুদকে রাষ্ট্রীয় সম্মানায় ভুষিত করণ, বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর কবর সংরক্ষণ করাসহ বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন এবং তাঁর প্রতি বিগত সরকারের রাষ্ট্রীয় অবহেলার তীব্র সমালোচনা করেন।
প্রসঙ্গত: কবির মহান কীর্তির স্মরণে প্রতি বছর সোনালী কাবিন পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন কবি ইব্রাহিম খান সাদাত।
+ There are no comments
Add yours