অনলাইন ডেস্ক:
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা অঙ্গীকারসমূহ পূর্ণ করো। তোমাদের জন্য গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু হালাল করা হয়েছে, তোমাদের নিকট যা বর্ণনা করা হচ্ছে তা ছাড়া।
তবে ইহরাম অবস্থায় শিকারকে হালাল করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ যা ইচ্ছা বিধান দেন।’ (সুরা : মায়িদা, আয়াত : ১)
অঙ্গীকারের প্রতি যত্নবান হওয়া বিবেকবান মানুষের কাজ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ অঙ্গীকারের ব্যাপারে যত্নশীল মুমিনদের সুনাম করেছেন।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনার রব থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা যে ব্যক্তি সত্য বলে জানে সে কি তার মতো যে অন্ধ? উপদেশ গ্রহণ করে শুধু বিবেকসম্পন্নরাই। যারা আল্লাহকে প্রদত্ত অঙ্গীকার রক্ষা করে এবং প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে না।’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ১৯-২০)
মহানবী (সা.) সাহাবায়ে কিরামকে অঙ্গীকার পূরণের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করতেন। অঙ্গীকার ও আমানত রক্ষার প্রতি উম্মতকে উৎসাহিত করা নবীদের বৈশিষ্ট্য ছিল।
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আবু সুফিয়ান (রা.) আমাকে খবর দিয়েছেন যে হিরাক্লিয়াস তাকে বলেছিলেন, তোমাকে আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি [নবী (সা.)] তোমাদের কী কী আদেশ করেন? তুমি বললে যে তিনি তোমাদের নামাজের, সত্যবাদিতার, পবিত্রতার, ওয়াদা পূরণের ও আমানত আদায়ের আদেশ দেন। হিরাক্লিয়াস বলেন, এটাই নবীগণের সিফাত। (বুখারি : ২৬৮১)
কিয়ামতের দিনও বান্দাদের তাদের অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সতর্ক করেছেন। যারা অঙ্গীকার কিংবা প্রতিশ্রুতি রক্ষায় উদাসীন হবে, কিয়ামতের দিন তাদের কঠিন বিপদে পড়তে হবে। অপমানিত হতে হবে।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা এতিমের সম্পদের কাছে যেয়ো না সুন্দরতম পন্থা ছাড়া, যতক্ষণ না সে বয়সের পূর্ণতায় উপনীত হয়। আর অঙ্গীকার পূর্ণ করো, নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
(সুরা : বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩৪)
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ইবনে উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন আল্লাহ তাআলা কিয়ামত দিবসে পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সবাইকে একত্র করবেন, তখন প্রত্যেক প্রতারকের জন্য পৃথক পতাকা উড্ডীন করা হবে এবং বলা হবে যে এটি অমুকের পুত্র অমুকের প্রতারণার চিহ্ন। (মুসলিম, হাদিস : ৪৪২১)
মহান আল্লাহ সবাইকে অঙ্গীকার রক্ষায় যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন।
+ There are no comments
Add yours