ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অটোরিকশা চালক হত্যার অভিযোগে সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম-২ আসনের সাবেক এমপি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা ও সংরক্ষিত আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলি আজাদ)-সহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।
২০২১ সালের ২৮ মার্চ অটোরিকশাচালক লিটন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় মাওলানা সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত লিটন মিয়া উপজেলার কাটানিশার মোড়াহাটি এলাকার মৃত মুজাম মিয়ার ছেলে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ঠাকুর রাব্বি, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বাপ্পি, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগমসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ হয়। ২৮ মার্চ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হোটেল লাল শালুকের পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন লিটন মিয়া নামের অটোরিকশা চালক। এই হত্যা মামলাটি তৎকালীন সময়ে থানায় নিয়ে গেলেও তা গ্রহণ করা হয়নি। সরকারের পালাবদল হওয়ায় নিহত লিটনের পরিবার মামলাটি পুনরায় দাখিল করার সিদ্ধান্ত নেন। এই অবস্থায় লিটনের স্ত্রী সোনিয়া আক্তার মামলা দায়েরসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার জন্যে এফিডেভিড করে মাওলানা সুলতান উদ্দিনকে ক্ষমতা প্রদান করেন। সুলতান উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে গত একমাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪টি হত্যা ও একটি গুমেরসহ ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. রফিকুল হাসান জানান, অটোরিকশাচালক লিটন মিয়া হত্যা দায়ের একটি মামলা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours