অনলাইন ডেস্ক॥
টয়লেট টিস্যু সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় আমেরিকায়। তবে এই টয়লেট টিস্যু আবিষ্কার হয়েছিল সুদূর চীনে। সেই সময়কার মানুষেরা সিরামিকের টুকরোর উপরে তাদের শত্রুদের নাম খোদাই করে লিখত। এরপর তা ব্যবহার করত টয়লেট পেপার হিসেবে। এমনকি পাবলিক টয়লেটগুলোতে তারা পেসসোই রেখে দিত। যেই এই টয়লেট ব্যবহার করবে সেই তার শত্রুর বিরুদ্ধে কিছু করতে পারল বলে ভেবে নিতে পারবে। অর্থাৎ এটিও তাদের এক ধরনের যুদ্ধ বলা যায়। শত্রুর বিরুদ্ধে কিছু করা।
অষ্টম শতাব্দীর দিকে জাপানীরা এক ধরণের কাঠের কাঠি ব্যবহার করত। এছাড়াও পানি, পাতা, ঘাস, পাথর, পশুর চামড়া এবং ঝিনুক ব্যবহার করত। এটি ছিল প্রাচীনকালের মানুষের কথা। ১৮৯০ সালে স্কট পেপার কোম্পানি টিস্যুকে রোল করে আকর্ষণীয় মোড়কে বাজারজাত শুরু করলে এটি দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৩০ সালে, জার্মানরা ছিদ্রযুক্ত রোলগুলো আবিষ্কার করেছিল যা বর্তমানে আমরা ব্যবহার করছি। ১৯৬০ এর দশকে, টয়লেট পেপার বিভিন্ন রঙে এসেছিল, বিশেষ করে গোলাপী এবং সবুজ রঙে বাথরুমের রঙের সঙ্গে মেলে। ২০০০ সালের গোড়ার দিকে, রঙিন টয়লেট পেপার রোলগুলো বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। শুধু সাদা রঙে টিস্যু বানাতে থাকে কোম্পানিগুলো। তবে এখনও বিশ্বের কিছু দেশে সাদার পাশাপাশি গোলাপি রঙের টয়লেট টিস্যু পাওয়া যায়।
+ There are no comments
Add yours