নেতার বাড়িতে কলেজছাত্রী: ‘আমি লাল মিয়াকে স্বামী হিসেবে চাই’

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥

বিয়ের দাবিতে আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন এক কলেজছাত্রী। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এ ঘটনার পর পালিয়েছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লাল মিয়াকে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে দ্বিতীয়বারের মতো অবস্থান নিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার পর থেকে লাল মিয়ার স্ত্রী ও শাশুড়ি বারান্দায় তালা দিয়ে ঘরে অবস্থান করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাত বছর আগে বাঁশতৈল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লাল মিয়ার সঙ্গে ওই কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে তরুণী বিয়ের তাগিদ দিলে টালবাহানা করতে থাকেন লাল মিয়া। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। সালিশে ওই ছাত্রীকে বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করেননি লাল মিয়া।
গত ২৩ জুলাই সকালে বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই কলেজছাত্রী। এ সময় লাল মিয়ার স্ত্রী ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেন। স্থানীয়দের চাপে লাল মিয়া ওই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে মোটরসাইকেলযোগে বের হন। পরে আর বিয়ে করেননি।
শনিবার বিকেলে ওই কলেজছাত্রী বিয়ের দাবিতে লাল মিয়ার বাড়িতে অবস্থান নেন। এ সময় বারান্দায় তালা দিয়ে ঘরে অবস্থান নেন লাল মিয়ার স্ত্রী ও তার মা। বাধ্য হয়ে উঠানে বসে রাত অতিক্রম করেন ওই তরুণী।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বলেন, সারারাত উঠানে বসে রাত কাটিয়ে দিয়েছি। মশার কামড় খেয়েছি। স্থানীয়রা আমার এই অবস্থা দেখতে এসেছেন। তবে কেউ সমাধান করেননি। আমি লাল মিয়াকে স্বামী হিসেবে পেতে চাই।
বাঁশতৈল ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল দেওয়ান বলেন, লাল মিয়া এবং ওই কলেজছাত্রীর বিয়ের বিষয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। সালিশে বিয়ে করতে রাজি হলেও পারিবারিক চাপে এড়িয়ে চলছেন লাল মিয়া। শনিবার সকালেও ইউপি কার্যালয়ে তাদের ব্যাপারে সালিশ বসে। সালিশ থেকে লাল মিয়া কৌশলে চলে যাওয়ায় শেষ করা সম্ভব হয়নি। বিয়ের দাবিতে ওই কলেজছাত্রী বাড়িতে অবস্থান নেয়াটা লাল মিয়ার কৌশলও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লাল মিয়ার ফোনে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours