সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই : ড. আলী রীয়াজ

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক:

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘সংবিধানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এটি পুনর্লিখন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যদি কোনো দল নির্বাচনে ৩০০ আসনও পায় তারাও এই সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে না।’
আজ শনিবার গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের পক্ষে আমি না। এটি সংশোধন কোনো কাজে আসবে না। এটি পুনর্লিখন ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে ‘ক’ ধারায় এমন কিছু জিনিস আনা হয়েছে যেটি সংশোধন করার কোনো উপায় নেই।’
তিনি বলেন, ‘সাংবিধানিকভাবে এক নায়কতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর হাতে অভাবনীয় ক্ষমতা। নির্বাচনী সার্চ কমিটি অস্বচ্ছ ছিল। শেখ হাসিনা নিজের লোকদের কমিশনে বসিয়েছেন।’
ড. আলী রীয়াজ আরও বলেন, ঐকমত্যের জায়গাকে গণতন্ত্র মনে করি না। সহনশীলভাবে মতপ্রকাশ এবং মত প্রকাশে সংখ্যালঘুর নিশ্চয়তা বিধানই হচ্ছে গণতন্ত্র। আমাদের সেই গণতন্ত্র পুনর্গঠন করতে হবে। তাই সংবিধানে হাত দেয়া ছাড়া আমি আর কোনো পথ দেখতে পাচ্ছি না।’
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী দিলরুবা শোর্মিন বলেন, ‘সংবিধানকে শেখ হাসিনা দুর্বোধ্য করেছেন। আদালতকেও দমন করেছে এই সংবিধান দিয়ে। সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদের ‘খ’ এর সাংবিধানিক জুজুর ভয় কাটানো দরকার।’
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজুল আলম বলেন, ‘জনগণের বৃহত্তর অংশ কী চাচ্ছে সেটা গুরুত্ব দিতে হবে। যে ত্যাগের মাধ্যমে বর্তমান দেশ অর্জন সংবিধানে তার প্রতিফলন থাকতে হবে। ৭১ এর আকাঙ্ক্ষা বাদ দেওয়া হলে সংবিধান পুনর্লিখন আত্মঘাতী হবে।’
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মঞ্জুর হাসান বলেন, মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার বিকল্প নেই। এতে অনেক বিতর্ক এড়ানো যাবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বোরহান উদ্দিন খান বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন করতে পারে সংসদ। সংবিধানের অষ্টম সংশোধনের সময় আমরা ভুল করেছি। সংবিধান পুনর্লিখন চাইলেই করা যায় না।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ, সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার সারা হোসেন।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours