প্রতিবেদক:
রাজধানী ভাটারা থানা এলাকায় সোহাগ মিয়া গুলিতে নিহত হওয়ার মামলায় সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজের আরও তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
এ সময় আ স ম ফিরোজ আদালতকে বলেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি থাকাকালে আমার এলাকা পটুয়াখালীর বাউফলে যান। তার সময় নির্বাচন করে ১৪ হাজার ভোট বেশি পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। আটবারসংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। ২০০১ সালে জোর করে আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়। আল্লাহকে হাজির নাজির করে বলছি, আমি জনতার ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। আওয়ামী লীগসহ সকল রাজনৈতিক দলকে সমান সম্মান করেছি। ৪৬ বছরের সংসদ সদস্য হয়ে কখনো কারও বিরুদ্ধে মামলা করিনি। এ মামলার ঘটনা সম্পর্কে জানি না, আমি অসুস্থ। জামিন চাই।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক মাসুদুর রহমান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ফিরোজের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে তার আইনজীবী কামাল হোসন বিশ্বাস বলেন, ‘তার রাজনৈতিক পরিচয় সবাই জানেন। দুই-চারজন স্বচ্ছ রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনি একজন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ান। ৮ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। এর আগে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। কোনো তথ্য উদঘাটন হয়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘তাকে সন্ধিগ্ধ আসামি হিসেবে রিমান্ডে নেওয়া হয়। ১৬১, ১৬৪-এ কেউ তার নাম বলেনি। হয়রানি করতে আবার রিমান্ড চেয়েছে। আবার রিমান্ডে নেওয়া হলে তা হবে সংবিধান, মানবাধিকারবিরোধী। তিনি বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন প্রার্থনা করছি।’ প্রসঙ্গত, এ মামলায় গত ২৩ আগস্ট রাতে ঢাকার বনানী এলাকা থেকে অ স ম ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন গত ২৪ আগস্ট আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে ভাটারা থানার ফরাজী হাসপাতালের সামনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সোহাগ মিয়া। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট তার বাবা শাফায়েত হোসেন ভাটারা থানায় হত্যা মামলা করেন।
+ There are no comments
Add yours