ডিজিটাল ডেস্ক:
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করলে ভারত কী জবাব দেবে, এমন প্রশ্ন করা করা হয়েছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এমন প্রশ্নের সম্মুখীন হলেও এর সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে তিনি বলেছেন, এই ধরনের প্রশ্ন অনুমাননির্ভর। আর অনুমাননির্ভর কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার রীতি নেই। এ সময় রণধীর জয়সওয়াল বলেন, গত ৫ আগস্ট খুব সংক্ষিপ্ত নোটিশে তিনি ভারতে প্রবেশের অনুমতি দিতে অনুরোধ করেছিলেন। তাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে যে ধরনের প্রশ্ন করা হচ্ছে তা কল্পনাপ্রসূত। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। তখন থেকে তিনি সেখানেই আছেন। এরপর ড. মোহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয় এবং সম্প্রতি কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করে। তবে শেখ হাসিনা আইনগতভাবেই ৪৫ দিন ভারতে থাকতে পারবেন এবং এর ভিত্তিতেই ভারতে রয়েছেন। ইতোমধ্যে তিন সপ্তাহের বেশি সময় দেশটিতে পার করে ফেলেছেন তিনি। বাংলাদেশে ভারতের দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলেই বাংলাদেশিদের সব শ্রেণির ভিসা দেওয়ার কাজ আবার শুরু হবে। ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। অস্থিরতা শেষে উন্নয়ন সহযোগিতা আবার শুরু হওয়ার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশিদের শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসার মতো জরুরি ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ভিসা দেওয়া আবার শুরু হবে। (ইত্তেফাক)
+ There are no comments
Add yours