বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় : কাদের সিদ্দিকী

Spread the love


প্রতিনিধি:

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু ও জনগণের আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারতের সময় এ মন্তব্য করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (বীর-উত্তম) বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী।
বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের কোনো দুর্দিন দেখিনি। যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে আর বর্তমান আওয়ামী লীগ এক নয়।
আমি একটা দল করেছি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে। যার প্রতীক গামছা। দলের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে পাহারা দেওয়া, মানুষের সেবা করা।’
তিনি বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক পিতার মুক্তির কারণেই টুঙ্গিপাড়া এসেছি।
সবাই যখন ইঁদুরের গর্তে ছিল তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম। তার জন্য আমি সম্মান পাইনি। মানুষের কাছ থেকে পেয়েছি কিন্তু যাদের কাছ থেকে পাওয়া দরকার ছিল, তাদের কাছ থেকে পাইনি বরং অনেক অসম্মানিত হয়েছি। টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা স্কুল মাঠে বঙ্গবন্ধুর জন্য শোক দিবস পালন করতে চেয়েছিলাম।
সেখানে কিন্তু আমাদের গাড়ি ভাঙা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভেঙে ছিল।’
কাদের সিদ্দীকি বলেন, ‘আমি আগেও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, যত দিন বেঁচে থাকব, তত দিন বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করেই বেঁচে থাকব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার আদর্শ। কিছু অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আমি সব সময় ছিলাম, আছি ও আগামীতেও থাকব।
আর টুঙ্গিপাড়ার মানুষদের অভিনন্দন জানাই। এ রকম একটা দুর্বিপাকের মধ্যেও তারা জাতির পিতার যথাযথ সম্মান রেখেছে।’
আল্লাহর কাছে বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষার প্রার্থনা করে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাফল্য আমি মনেপ্রাণে কামনা এবং বিশ্বাস করি। কারণ দেশটা আমার ভালো চলেনি। তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া যাবে না। আমার প্রেম আমার ভালোবাসা সমস্তটাই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে, আমি একজন রিকশাওয়ালা হতাম অথবা রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পাওয়ার পর আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছি। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ জিনিস না। এখন মানুষের আয়ু একটু বাড়ছে, কিন্তু মানবতা কমেছে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দেশাত্মবোধ কমে গেছে।’
এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বিশ্রামাগারে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন বঙ্গবীর। পরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শতাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন তিনি। এরপর বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে একান্তে দোয়া মোনাজাত করেন তিনি। এ সময় ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দলের সদস্য ফরিদ আহমেদ, আব্দুর রহমান, পারভেজ, হাবিবুন নবী সোহেল, আরমান হোসেন তাপসসহ গাজীপুর, নারায়গঞ্জ, মির্জাপুর, সখিপুর, মধুপুর, বাশাইল ও ঢাকার শতাধিক দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours