অনলাইন ডেস্ক:
রাত থেকে শুরু হচ্ছে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল। আজ রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে দুটি ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রাত সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছাড়বে তূর্ণা এবং রাত পৌনে ১২টায় ছাড়বে চট্টগ্রাম মেইল। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে পুরোদমে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
আজ রেললাইনের অবস্থা দেখতে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্ধারকারী ট্রেন নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পরিদর্শনের পর ট্রেন চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘এবার স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। বন্যায় ফেনী থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত অংশে দুটি রেললাইনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু রেললাইন নয়, রেলসেতুর ওপর দিয়েও পানি ছিল। এসব কারণে ট্রেন চালানো সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় ট্রেন চললে যাত্রীদের বিপদের পাশাপাশি রেলসম্পদেরও ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা ছিল।’
ট্রেন চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম) মো. আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে দুটি লেন আছে। স্রোতে একটি লেন (চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী লেন) বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যটি (ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী ডাউন লেন) তুলনামূলক কম। এখন এটি সংস্কার করে ট্রেন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। আজ রাতে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী সব কটি ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।’
গত বুধবার থেকে কুমিল্লা ও ফেনীর বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এ সময় ফেনীতে রেললাইন ডুবে যায়। এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন মানুষ। কেননা বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন অংশও তলিয়ে গিয়েছিল। এতে যান চলাচল কার্যত থমকে যায়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট সৃষ্টি হয় মহাসড়কে। ট্রেন বন্ধ এবং সড়কপথে যানজটের কারণে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
+ There are no comments
Add yours