অনলাইন ডেস্ক:
ভারত থেকে নেমে আসা পানি ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ভাসছে দেশের ১৩ জেলার মানুষ। এই অবস্থায় চারদিকে যখন ত্রাণের জন্য হাহাকার, ঠিক তখন কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ফেনীর বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য।
কুমিল্লা : গতকাল বিকালে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় কুমিল্লার গোমতী পাড়ের ৫ শতাধিক বানভাসি পরিবারকে খাদ্য এবং ওষুধ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে বন্যার্তদের মধ্যে এই সহায়তা দেওয়া হয়। বুড়িচং ও কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার বানভাসি মানুষের মধ্যে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বসুন্ধরার খাদ্য সহায়তা পেয়ে অনেকটা আবেগাপ্লুত হয়ে মোহন নামের এক ব্যক্তি বলেন, কখনো এত পানি দেখিনি। পানি এসে কেড়ে নিয়ে গেছে সব। বসুন্ধরা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এ জন্য আমরা তাদের জন্য দোয়া করি। কুমিল্লায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য আসা নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মায়িদা ইকবাল বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে- সেটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে।
নোয়াখালী : রাতের বেলায়ও ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে নোয়াখালীর পানিবন্দি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বসুন্ধরার ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক এবং সাধারণ ছাত্ররা গতকাল দুপুর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার উত্তর জিরতলী ও গোপালগঞ্জ উত্তর নাজিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থী হাসান মাহমুদ প্লাবন, মো. ফরহাদ হোসেন, সামাইন মোহাম্মদ চৌধুরী তাহিন আহমেদ মাসুদ রানাসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী : ফেনীতে বন্যার্তদের জন্য দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের দেওয়া ৪০ হাজার প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। এর আগে শুক্রবার রাতে ফেনী জেলা প্রশাসনের কাছে ত্রাণের প্রথম চালান হিসেবে ৪ হাজার প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। প্যাকেটে রয়েছে বিস্কুট, ওরস্যালাইন, চিড়া-মুড়ি ও জুস, পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং দিয়াশলাই। বসুন্ধরা গ্রুপের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তা কাজী রোকন উদ্দিন এসব প্যাকেট জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করেন। গতকাল সকাল থেকে ফেনীর বন্যাকবলিত এলাকায় বসুন্ধরা গ্রুপের এসব ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়।
+ There are no comments
Add yours