ডিজিটাল ডেস্ক:
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা যেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পুড়িয়ে দেওয়া বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জমায়েত হতে না পারে, সেজন্য বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত থেকেই অবস্থান নিয়েছে ছাত্র-জনতা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেখানে রয়েছেন নানা বয়সের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে ধানমন্ডি ৩২ ও পান্থপথে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে ছাত্র-জনতা। ওই এলাকা দিয়ে চলাচলকারীদের কাছে পরিচয় এবং তারা কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক এই বাড়ির সামনের রাস্তাটির দুই প্রান্তই কাঁটাতার দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
এতকিছুর পরেও একজন ব্যক্তি ভেতরে চলে গেলে ছাত্র-জনতা তাকে ধরে ফেলেন এবং বেঁধে রাখেন। এরপর তাকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে সেনাবাহিনীর কাছে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় তারা একে অপরকে বলছিলেন, ‘মারবেন না, সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন।’
আশপাশের প্রায় সব সড়কের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ছাত্র-জনতা। সেনাবাহিনীও টহলে রয়েছে। পুলিশের একাধিক ইউনিটকে সড়কের পাশে ফুটপাতে বসে থাকতে দেখা গেছে। ওই এলাকা যারা অবরোধ করে রেখেছেন তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশের পতাকা বহন করছেন। জানা যায়, সকাল থেকে ধানমন্ডি ৩২ এলাকায় কমপক্ষে তিনজনকে মারধর করা হয়েছে। ছবি তোলার সময়ও সাংবাদিকদের বাধা দিচ্ছেন কেউ কেউ।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বনানী কবরস্থানে যাচ্ছেন। তারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বাধার মুখে ফিরে আসতে হয়। এরপর তারা বনানী কবরস্থানে এসেছেন।
উল্লেখ্য, বনানী কবরস্থানে বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে নিহত বাকিদের সমাহিত করা হয়েছিল। (দ্য ডেইলি স্টার বাংলা) (ইত্তেফাক)
+ There are no comments
Add yours