আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রবল জনবিক্ষোভের মুখে হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে যতদ্রুত সম্ভব দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানান। সোমবার জন আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি দিল্লিতে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি সব পক্ষকে শান্ত ও সংযমের আহ্বান জানান। একটি শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও গণতান্ত্রিক পথ উত্তরণের ওপর জোর দেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ স্থানান্তর খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যাদের নির্বিচারে আটক করা হয়েছে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া উচিত।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের প্রতিনিধি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে যে সহিংসতা আমরা দেখেছি ও তা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’ শিক্ষার্থী, শিশু ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাসহ সবার প্রাণহানির ঘটনা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি গণতন্ত্রের অস্তিত্ব নিশ্চিত করতে এবং বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘আমরা সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। গত কয়েক সপ্তাহে অনেক প্রাণ ঝরেছে। আমরা সামনের দিনগুলোতে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানাচ্ছি। একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী যে কোনো পরিবর্তন পরিচালনার আহ্বান জানাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট মেজরিটি লিডার চাক শুমার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৈধ প্রতিবাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহিংস প্রতিক্রিয়া তার নেতৃত্বের প্রতি মানুষের সমর্থন তুলে দিয়েছে। আমি সাহসী আন্দোলনকারীদের প্রশংসা করছি ও একই সাথে নিহতদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সকলের অধিকারকে সম্মান করে এবং দ্রুত গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজন করে এমন একটি ভারসাম্যপূর্ণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা এ মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ।’
জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বাংলাদেশের চলমান ঘটনাবলীর বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করে বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
+ There are no comments
Add yours