সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সরকারের শীর্ষ মহল থেকে বিশেষ বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। এরই মধ্যে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার সদর দপ্তর থেকে সবগুলো ইউনিটে বিশেষ বার্তা পাঠানো হয়েছে। সর্বোচ্চ সতকর্তামূলক ব্যবস্থা নিতে ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় মাঠ পর্যায়ে সক্রিয় রয়েছেন বিভিন্ন বাহিনীর ৩০ হাজার সদস্য।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। রাজধানীর উত্তরা এবং হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় হঠাৎ করেই ঘোলাটে হয়ে উঠেছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তবে গতকাল সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাঠে ছিল বিজিবির (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) টহল। দিনে কারফিউ না থাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক ও সশস্ত্র অবস্থায় থাকতে দেখা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি) আনোয়ার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সম্ভাব্য সব বিষয়কে মাথায় রেখেই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর। শান্তিপূর্ণ অবস্থানকারীদের বিষয়ে সহনশীলতা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপনের পর থেকেই দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করবে তারা। এক এলাকার নেতা-কর্মীদেরকে তারা অন্য এলাকায় গিয়ে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা দিয়েছে। তবে কারফিউ জারির আগে ঢাকা এবং এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেওয়া কিছু নেতা-কর্মী এখনো নিজেদের এলাকায় ফেরেনি। তাদেরকে প্রয়োজনে অবস্থান পরিবর্তন করে পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট এবং টহল জোরদার করা হয়েছে। তবে যারা সহনশীল এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন তাদের ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট পজিটিভ। তবে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করছে, জ্বালাও পোড়াও করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর হবে।
+ There are no comments
Add yours