রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস ॥ পুরো নোয়াগাঁও ইউনিয়নে এই সময়ের ভাইরাল অথবা জনপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে, মানুষের ভালোবাসা আর মমতার চাদরমাখা আদরে, গভীর শ্রদ্ধার সাথে যে নামটি বারবার উচ্চারিত হচ্ছে, তিনি হলেন, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুুল মালেক।
কারণ, ইতোমধ্যেই একের পর এক মানবসেবামুলক কাজ করে করে সরাইলের ইতিহাসে অনন্য নজির স্থাপন করলেন এই সমাজসেবক আব্দুল মালেক। তিনি তাঁর ব্যক্তি উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে একাধিক সড়ক নির্মাণ, সংযোগ সড়ক ও ব্রিজ নির্মাণ এবং মেরামত করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছেন।
এরফলে প্রতিদিনই এই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষজন আসছেন তাদের বিভিন্ন সমস্যাদি নিয়ে। কেউ বা আসছেন রাস্তা মেরামতের জন। কেউ বা আসছেন কবরস্থানের মাটি ভরাটের জন্য। অনেকেই আসছেন বিভিন্ন পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সমস্যা নিয়ে। একজন এলেন একটি অসুস্থ ছেলের জন্য একটি হুইলচেয়ার দিতে হবে তাকে। আব্দুল মালেক দিচ্ছেন। কাউকেই তিনি নিরাশ করছেন না।
কাটানিশার গ্রামের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুুল মালেক এভাবেই তার সাধ্যমতো মানুষকে সেবা দিচ্ছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করছেন। আরও কাজ করার পরিকল্পনা করছেন। সবসময়ই গ্রামের একদল পরিশ্রমী উদ্যমী কর্মপাগল মানুষ তাঁর সাথে থাকেন। যারা তাঁকে এলাকার উন্নয়নে বিভিন্ন সমাজসেবামুলক কাজের উৎসাহ দিয়ে থাকেন।
ইতোমধ্যেই আব্দুল মালেক, কাটানিশার-গুচ্ছগ্রাম সড়ক নির্মাণ করেছেন। এটি প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ। প্রায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ কাটানিশার-ধল্লা সড়কটি নির্মাণ করেছেন। এই এলাকার শত বছরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত, লাহোর নদীর দুইপারে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে নদীর উপর অস্থায়ী একটি ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি। এদিকে বাড়িউড়া বর্তমান চেয়ারম্যান এর বাড়ি সংলগ্ন সড়ক মেরামত কাজ সম্পন্ন করণ। তেরোকান্দায় ব্রিজের সংযোগ সড়ক পাকাকরণ কাজ করেছেন। তেরোকান্দায় বিভিন্ন পাড়ার একাধিক সড়ক মেরামত কাজ করণ। কাটানিশার থেকে কানিউচ্ছ, গুচ্ছগ্রাম, কুচনি ও বুড্ডাগামী সড়কের মেরামত করেছেন। অপরদিকে বাড়িউড়া- কালীকচ্ছ সড়কের মেরামত কাজ করছেন। এই সড়ক মেরামতের কাজটি তিনি এমনভাবে করছেন, যেখানে যখনই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়, তখনই তিনি সেখানে গিয়ে মেরামত কাজে হাত দেন। আর তাকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করেন এই এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষজন। এইসব বিশাল কর্মযজ্ঞ ইতোমধ্যেই পত্র-পত্রিকাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, সরাইল তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাটে মাঠে, চায়ের আড্ডায়, অবসরে মানুষের মুখে ও আলোচনায় নিঃস্বার্থ সমাজসেবক আব্দুল মালেক এর নামটি ইচ্ছায় অনিচ্ছায় ওঠে আসছে। আর এই আলোচনা সরাইল থেকে ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সর্বত্রই চলছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে দেশে এবং বিদেশে যারা তাকে চেনেন, তারা এবং যারা চেনেন না তারাও তাকে নিয়ে আলোচনা করছেন। তারা দেখছেন, কীভাবে একজন আব্দুল মালেক নিজের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে মানুষের জন্য কিছু কাজ করছেন। তিনি ব্যক্তি উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যেই সরাইলের নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার-গুচ্ছগ্রাম এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করেছেন। ব্যক্তি উদ্যোগে এবং নিজস্ব অর্থায়নে জনগুরুত্বপূর্ণ ওইসব জনহিতকর কর্ম সম্পাদনের মধ্য দিয়ে এই সময়ের ভাইরাল একটি নাম-নিভৃতচারী সমাজসেবক আব্দুল মালেক। ইতোমধ্যেই স্থানীয় গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিভৃতচারী সমাজসেবক আব্দুল মালেক এর বিশাল কর্মযজ্ঞ ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। এলাকার হাজার হাজার নারী পুরুষের কাছে প্রিয় হয়ে উঠছেন সমাজসেবক আব্দুল মালেক।
প্রসঙ্গত: আব্দুল মালেক কাটানিসার গ্রামের কৃতি সন্তান। ব্যবসার সুবাদে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ তার নিজস্ব বাসভবনে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তিনি গত প্রায় এক বছর ধরে এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডে অবস্থিত দি ঝুমুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক আবাসিক হোটেল, এ মালেক কনভেনশন হল এন্ড কমিউনিটি সেন্টার। এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক। জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এএমটিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাছাড়াও তিনি ব্যবসায়ী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন সম্মানিত পরিচালক। তিনি দেশীবিদেশী বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে মানবসেবা করে যাচ্ছেন।
+ There are no comments
Add yours