বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল মালেককে দেখতে প্রতিদিন আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে ছুটে আসেন বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ ও শিশুরা॥ লাহোর নদীতে ব্রিজ হচ্ছে॥ চলছে দুই পাড়ের সংযোগ সড়ক

Spread the love


বিশেষ প্রতিনিধি ॥
প্রতিদিন সকালে কাজ শুরু হলে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে ছুটে আসেন বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ ও শিশুরা। মা মাটি আর জন্মভিটাকে ভালোবেসে অবহেলিত এই এলাকার উন্নয়নে আজ কাজ করছেন একজন মানুষ। বিগত ১০০ বছরের মধ্যে এই এলাকায় নেই কোন সড়ক, লাহোর নদীতে নেই কোন ব্রিজ। আজ এতো বছর পর সড়ক নির্মাণ হচ্ছে, প্রস্তুতি চলছে নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের, তাই দেখতে দলে দলে লোকজন আসছেন। তারা প্রাণভরে দোয়া করছেন একজন নিভৃতচারী সমাজসেবক আবদুল মালেক এর জন্য। তারা বলছে, একজন আব্দুল মালেক আমাদের কাছে মহান সৃষ্টিকর্তার এক আশির্বাদ। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আব্দুল মালেক তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাহোর নদীতে হচ্ছে অস্থায়ী ব্রিজ। চলছে দুই পাড়ে সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজ। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নবাসীর অপ্রত্যাশিত উন্নয়নের আরো একটি নতুন প্রজেক্ট বাস্তবায়নে কাজ করছেন দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ব্যবসায়ী মহলের পরিচিত মুখ, অত্র এলাকার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক। স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর দুই ঈদের নামাজ পড়তে তাদেরকে নোয়াগাঁও- ইসলামাবাদ ঈদগাহ মাঠে যেতে হয়। একদিকে কাটানিসার, আইরল, ও কানিউচ্চসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এবং অপরদিকে ধল্লা, তেরকান্দা, কুচনি-বুড্ডা, জারুল্লাহ হাটিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে এই লাহোর নদী পার হয়ে যেতে হয়। এদিকে লাহোর নদীর উপর কোনো ব্রিজ না থাকায় যাতায়াতে তাদের বেশ সমস্যা হয়। শত সমস্যার মাঝেও গ্রামের মানুষ দুটি ঈদেই নোয়াগাঁও- ইসলামাবাদ ঈদগাহ মাঠে গিয়ে নামাজ আদায় করে থাকেন। তারা আরো জানান, উল্লেখিত কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের কৃষি কাজ শেষে ফসল ঘরে তোলা এবং দৈনন্দিন কাজে যাতায়াত করতে হয় এই নদীর উপর দিয়েই। কিন্তু এই দুই এলাকার সংযোগস্থল হিসেবে লাহোর নদীতে কোনো ব্রিজ না থাকায় সারা বছরই দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এখানকার হাজার হাজার মানুষকে। এখানে শরীর বা কাপড় না ভিজিয়ে নদী অতিক্রম করার কোনো উপায় নেই এই। ইতোমধ্যেই কাঁটানিশার এলাকায় নিভৃতচারী সমাজসেবক আবদুল মালেক তার নিজ অর্থায়নে এবং ব্যক্তি উদ্যোগে প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছেন। এবিষয়টি এখন সরাইল তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর মুখে মুখে। ফলশ্রুতিতে লাহোর নদীর এই সমস্যাটি নিয়ে এই নদীর দুই পারের বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, এই এলাকার কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক এর সাথে আলাপ করেন এবং এলাকাবাসীর উন্নয়নে আবারও নতুন নতুন সড়ক নির্মাণের মতো কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান। সেই প্রেক্ষিতে, লাহোর নদীর উপর একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ ও নদীর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও নির্বতচারী সমাজবেক আব্দুল মালেক। তারই অংশ হিসেবে গত ১৯ মে ২০২৪ খ্রি. রবিবার সকালে লাহোর নদীতে নদীর দুই পারের সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রথম দিন কাজ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া করেন মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন। দোয়ার পরপরই একটি অত্যাধুনিক মাটি কাটার যন্ত্র ভেকু দিয়ে তিনি মাটি কাটার কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। স্থানীয়রা আরো জানান, ইতোমধ্যেই গত কয়েকমাস আগে, কাটানিশার গ্রামে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক নির্মাণ করে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক। আর এই কাজটি তাঁকে অমর করে রাখবে আমাদের মাঝে। আব্দুল মালেক সম্পর্কে আরও একটি বিষয় জানান এলাকাবাসী। তারা বলছে, বাড়িউড়া- কালীকচ্ছ সড়কটি মেরামত করেছেন আব্দুল মালেক তাঁর ব্যক্তি উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে। এই সড়কটি অনেক বড়। বাড়িউড়া থেকে সেই কালিকচ্ছ পর্যন্ত বিস্তৃত। যেটি এই নোয়াগাঁও ইউনিয়নের প্রধান সড়ক। সেটি দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামতহীন ছিলো। মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হত। প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটতো। এসব দেখে ও এলাকাবাসীর কাছে তাদের কষ্টের কথা শুনে আব্দুল মালেক পুরো সড়কটির বড় বড় গর্ত মেরামতের উদ্যোগ নেন। যা এখনো চলমান আছে।
প্রসঙ্গত: আব্দুল মালেক কাটানিসার গ্রামের কৃতি সন্তান। ব্যবসার সুবাদে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ তার নিজস্ব বাসভবনে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তিনি গত প্রায় এক বছর ধরে এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডে অবস্থিত দি ঝুমুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক আবাসিক হোটেল, এ মালেক কনভেনশন হল এন্ড কমিউনিটি সেন্টার। এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক। জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এএমটিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাছাড়াও তিনি ব্যবসায়ী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন সম্মানিত পরিচালক। তিনি দেশীবিদেশী বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে মানবসেবা করে যাচ্ছেন।
এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিটি মানুষ আলাদা। তাঁর চিন্তা চেতনা আলাদা। আমি সততা আর পরিশ্রমকে ভালোবাসি। ব্যবসা করছি, আল্লাহ আমাকে ব্যবসার মাধ্যমে হালাল রুজির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ আমি সমাজের জন্য, সমাজের মানুষের জন্য, অবহেলিত এলাকার উন্নযনের জন্য কিছু একটা করতে চাই। এখানকার মানুষ আমাকে এতো ভালোবাসে এটা আমি এই কাজের জন্য না এলে বুঝতে পারতাম না। কারণ প্রতিটি দিন যখন আমি সড়ক নির্মাণ করি, যখন আমি ব্রিজ নির্মাণের কথা বলি-তারা আমাকে সাপোর্ট করে। আমাকে প্রতিটি সেকেণ্ড সেকেণ্ড তারা আমাকে উৎসাহ দেয়-সাপোর্ট করে ভালোবাসা আর মমতার চাদরে আবদ্ধ করে রাখে। মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে যে কত সুখ! তা কেবল সেই বুঝতে পারে, যে পরের তরে কিছু করে। তিনি আরও বলেন, আমি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। আমি সকল ভালো কাজের সাথে আছি। এলাকার জনগণ আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন এই কাজটি করে দেবার জন্য। এলাকাবাসী পাশে থাকলে আমি এলাকার মানুষের প্রয়োজনে যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় আমার সাধ্যমতো উন্নয়নমুলক কাজে আজীবন নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে চাই। এসময় আব্দুল মালেক আরও বলেন, আমি কর্মপাগল মানুষ। আমি এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। এই মুহূর্তে আপনাদের দোয়া ছাড়া আর কিছুই চাই না আমি।

About The Author

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours