ডেস্ক:
ইরানে পালিত হচ্ছে শোক। শোকের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। অনেক ইরানি মনে করেন এই হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পেছনে নাশকতাও থাকতে পারে। কারণ হেলিকপ্টারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটিতে কী হয়েছিল আর কেনই বা হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা ঘটল, সে প্রশ্ন এখন সবার মুখে। প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে বলে জানা গেছে। এতে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই। সোমবার (২০ মে) বিবিসি ও রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে আলোচনায় এসেছে হেলিকপ্টারটির নির্মাণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রও। ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। রাইসি যে হেলিকপ্টারটিতে যাত্রা করেছিলেন সেটির মডেল সম্পর্কে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ছিল বেল ২১২ মডেলের, যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই হেলিকপ্টারটি মাঝারি আকারের যেখানে ১৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পাইলটের জন্য একটি আসন এবং যাত্রীদের জন্য বাকি ১৪টি। জানা যায়, রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। দুর্ঘটনার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি উদ্বিগ্ন না হতে ইরানের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রপরিচালনায় কোনো বিঘ্ন ঘটবে না।’ এদিকে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় হেলিপকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার স্থান থেকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার কয়েক ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালানোর পর তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ইরান দুর্ঘটনার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনকে তার সহযোগীরা ব্রিফ করেছেন। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে যা প্রকাশিত হয়েছে তার চেয়ে বেশি কিছু জানতে পারেননি। সূত্র : এএফপি ও রয়টার্স
+ There are no comments
Add yours