বিশেষ প্রতিনিধি॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নবাসীর অপ্রত্যাশিত উন্নয়নের আরও একটি নতুন প্রজেক্ট বাস্তবায়নে কাজ করছেন দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ী মহলের পরিচিত মুখ, অত্র এলাকার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, লাহুর নদীর উপর একটি মাত্র ব্রিজের অভাবে প্রতিবছর দুই ঈদের নামাজে নোয়াগাঁও- ইসলামাবাদ ঈদগাহ মাঠে যেতে একদিকে কাটানিসার, আইরল, ও কানিউচ্চসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ এবং অপরদিকে ধল্লা, তেরকান্দা, কুচনি-বুড্ডা, জারুল্লাহ হাটিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে বেশ সমস্যা হয়। শত সমস্যার মাঝেও গ্রামের মানুষ দুটি ঈদেই নোয়াগাঁও- ইসলামাবাদ ঈদগাহ মাঠে গিয়ে নামাজ আদায় করে থাকেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উল্লেখিত গ্রামের হাজার হাজার মানুষের কৃষি কাজ শেষে ফসল ঘরে তোলা এবং দৈনন্দিন কাজে যাতায়াত করতে হয় এই নদীর উপর দিয়েই। কিন্তু এই দুই এলাকার সংযোগস্থল হিসেবে লাহুর নদীতে কোনো ব্রিজ না থাকায় সারা বছরই দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এখানকার হাজার হাজার মানুষকে। এখানে শরীর বা কাপড় না ভিজিয়ে নদী অতিক্রম করার কোনো উপায় নেই এই আধুনিক যুগের প্রযুক্তি নির্ভর মানুষদের। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যাটি নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, এই এলাকার কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক এর সাথে আলাপ করেন এবং এলাকাবাসীর উন্নয়নে আবারও নতুন নতুন সড়ক নির্মাণের মতো কাজ করার জন্য অনুরোধ জানান। সেই প্রেক্ষিতে, লাহুর নদীর উপর একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ ও নদীর দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক। তারই অংশ হিসেবে গতকাল ১৯ মে ২০২৪ খ্রি. রবিবার সকালে লাহুর নদীতে নদীর দুই পারের সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও একটি অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রথম দিন কাজ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া করেন মাওলানা মো. দেলোয়ার হোসেন। দোয়ার পরপরই একটি অত্যাধুনিক মাটি কাটার যন্ত্র ভেকু দিয়ে তিনি মাটি কাটার কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।
ইতোমধ্যেই কাটানিশার গ্রামে প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ করে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক।
তাছাড়াও তিনি বাড়িউড়া- কালীকচ্ছ সড়কটি মেরামত করেছেন।
প্রসঙ্গত: আব্দুল মালেক কাটানিসার গ্রামের কৃতি সন্তান। ব্যবসার সুবাদে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হালদারপাড়াস্থ তার নিজস্ব বাসভবনে স্বপরিবারে বসবাস করছেন। তিনি গত প্রায় এক বছর ধরে এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছেন। তার উল্লেখযোগ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মসজিদ রোডে অবস্থিত দি ঝুমুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক আবাসিক হোটেল, এ মালেক কনভেনশন হল এন্ড কমিউনিটি সেন্টার। এছাড়াও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার সম্পাদক। জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এএমটিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের চেয়ারম্যান। তাছাড়াও তিনি ব্যবসায়ী সংগঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির একজন সম্মানিত পরিচালক। তিনি দেশীবিদেশী বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত থেকে মানবসেবা করে যাচ্ছেন।
এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজবেক আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, আমি মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই। আমি সকল ভালো কাজের সাথে আছি। এলাকার জনগণ আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন এই কাজটি করে দেবার জন্য। এলাকাবাসী পাশে থাকলে আমি এলাকার মানুষের প্রয়োজনে যেকোনো উন্নয়নমুলক কাজে আজীবন নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে চাই। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীরতার ৫০ বছর পরও এই এলাকাটি উন্নয়নবঞ্চিত হয়ে আছে, যা সত্যিই দুঃখজনক। এসময় আব্দুল মালেক আরও বলেন, আমি কর্মপাগল মানুষ। আমি এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
+ There are no comments
Add yours