অনলাইন ডেস্ক॥
নরসিংদীতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া, গাজীপুরের শ্রীপুরে বজ্রপাতে ফাতেমা আক্তার নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
নরসিংদী প্রতিনিধি জানায়, শনিবার সকাল ১২টার দিকে সদর উপজেলার চরাঞ্চলের আলোকবালী ও শহরতলীর হাজীপুরে বজ্রপাতে চার জন নিহত হয়।
আলোকবালী গ্রামে নিহতরা হলেন– একই গ্রামের কামাল মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৩৫), তার ছেলে ইমন মিয়া (১০), শ্রমিক রায়পুরার বাঘাইকান্দি এলাকার হাতেম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২০)। তারা জমিতে ধান কাটার সময় এ ঘটনা ঘটে।
অপরজন হলেন- শহরতলীর হাজিপুর চকপাড়ার মোসলেহ উদ্দিন (৫৫)। ঝড়-বৃষ্টির সময় তিনি বাইরে বের হলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুফিয়া বেগমের স্বামী কামাল মিয়া বলেন, স্ত্রী, সন্তান ও আরও একজন সকাল থেকে মাঠের জমিতে ধান কাটছিলেন। সকাল ১২টার দিকে হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় তারা শরীরে পলিথিন দিয়ে ঢেকে বৃষ্টি থেকে রক্ষার চেষ্টা করেন। হঠাৎ করে বজ্রপাত হলে তারা আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্ত্রী ও সন্তানসহ ধান কাটা শ্রমিককে মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, বজ্রপাতে পৃথক ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশ পরিদর্শন করে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. তানসেন চৌধুরীর বরাতে কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া গ্রামের মো. নূর হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বজ্রপাতে নিহত হয়।
নিহতের ছেলে জহিরুল ইসলাম জানান, তার মা ফাতেমা আক্তার সকালে বাড়িতে ধান শুকানোর কাজ করছিলেন। ঝড়বৃষ্টি আসছে দেখে উঠান থেকে তিনি ধান উঠাতে যান। এ সময় বজ্রপাত হলে তার মাকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীপুর উপজেলা জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাবিনা জানান, ওই নারীকে সকাল সাড়ে ১০দিকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বজ্রপাতে তার শরীরের বামদিক ঝলসে গেছে।
+ There are no comments
Add yours