ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় মার্কেট ও বিভিন্ন স্থানে গণশৌচাগার নির্মাণ ও শহরের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম এমএএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে এক গোলটেবিল বৈঠক থেকে এমন দাবি জানানো হয়। মঙ্গলবার শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এ গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, শহরের বিপনী বিতান, বেসরকারী হাসপাতালসহ জনসমাগমস্থলে পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট নেই, এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে, বিশেষ করে নারীদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি। গণশৌচাগার না থাকায় নারীদের দীর্ঘক্ষণ টয়লেট চেপে রাখতে হয়, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক পীড়ার কারণ হয়। শুধু তাই নয় মাতৃদুগ্ধ পান করানোর জন্য নিরাপদ স্থান না থাকার কারণে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয় মায়েদের। এছাড়া ড্রেন পরিস্কার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, প্লাস্টিক ব্যাগের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ, পুকুর, খাল ও জলাশয় সংরক্ষণের দাবি করা হয় বৈঠকে। এজন্য গণশৌচাগার নির্মাণ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা তাগিদ দেন তারা।
ব্রিটিশ দাতাসংস্থা এফসিডিও-এর অর্থায়নে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল পরিচালিত বাংলাদেশ ষ্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল একাউন্টিবিলিটি ফর সিটিজেন এমপাওয়ারমেন্ট (বি-স্পেস) প্রকল্পের সহায়তায় এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এমএএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দীন খোকন। ডেমোক্রেসী ইন্টান্যাশনালের রাজনৈতিক ফেলো মিনহাজ মামুন ও সাঈদ হাসান সানীর সঞ্চালনায় এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আ. কুদদূস। এসময় প্যানেল আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নাসির আহমেদ খান, জেলা যুবলীগের সভাপতি এড. শাহনুর ইসলাম, মাল্টিপার্টি এডভোকেসী ফোরাম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মমিনুল হক, সহসভাপতি আবু কাউসার খান, প্রভাষক মোঃ মনির হোসেন। অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক বিশ^জিৎ পাল বাবু,আওয়ামী লীগ নেতা আশিকুর রহমান পাঠান, বিএনপি নেত্রী শামীমা বাছির স্মৃতি, জাতীয় পার্টি নেতা প্রভাষক জিয়াউর রহমান লাভলু, কবি রুদ্র মুহাম্মদ ইদ্রিস, নারী নেত্রী খালেদা মুন্নী, সমাজকর্মী সোহেল রানা ভূঞা, সুশান্ত পাল, সংস্কৃতিকর্মী আনিসুর রহমান, ফাহিমা সুলতানা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো.আ.কুদ্দূস বলেন, আমি আপনাদের দাবী তথা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক টয়লেট ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের সাথে এক মত পোষণ করছি। আগামী জুন মাসের মধ্যেই গণশৌচাগার নির্মাণের জন্য টেন্ডার সম্পন্ন করা হবে এবং আগামী তিন মাসের মধ্যেই এ কাজ দৃশ্যমান হবে। এছাড়াও ড্রেন ও পয়ঃ নিষ্কাশন সম্পর্কে আপানাদের যে সুপারিশ সমূহ পেয়েছি সেই মোতাবেক দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করব। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সার্বিক উন্নয়নে আমি আপানদের সকলকে পাশে চাই। আপানাদের সকলের সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা বাংলাদেশে একটি মডেল হবে এই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করছি। এসময় তিনি সকলের দাবির প্রতি একমত হয়ে জোর দিয়ে বলেন, এই পৌরসভায় কোনো পুকুর ভরাট করতে দেওয়া হবে না। আপনারা আমাকে পরামর্শ দিন, কোথায় কাজ করতে হবে বলুন, আমি করে দেব।
+ There are no comments
Add yours