স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মী সমাবেশ চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। আজ শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌরমুক্ত মঞ্চে জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মী সভা চলাকালে সমাবেশ স্থলের পাশে সমবায় মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রলীগ কর্মীরা হলেন, শহরের কাজীপাড়া মহল্লার সাদাফ-(১৫), একই এলাকার নীরব (১৬) ও খন্দকার নূর-(১৫)। তারা সবাই জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-(১) মহসিন মোল্লার সমর্থক।
আহতের প্রত্যেকের মাথায় একাধিক সেলাই দিতে হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌরমুক্ত মঞ্চে জেলা ছাত্রলীগের বিশেষ কর্মী সভা চলাকালে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-(১) মোঃ মহসীন মোল্লার সমর্থকেরা সমাবেশ স্থলের পাশে সমবায় মার্কেটের সামনে জড়ো হয়। এ সময় অপর সাংগঠনিক সম্পাদক-(২) রহুল আমীন আফ্রিদির সমর্থকেরা হঠাৎ করেই মহসিন মোল্লার সমর্থকদের উপর চড়াও হয়।
এ সময় মহসিন মোল্লার তিন সমর্থককে পিটিয়ে আহত করেন আফ্রিদির সমর্থকেরা। পরে ছাত্রলীগের কর্মীরা আহত অবস্থায় তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাসপাতালে আহত নীরব ও সাফাদ জানান, পূর্ব থেকেই তাদের সাথে বিরোধ ছিলো। এই বিরোধের জেরে তাদের উপর হামলা করা হয়েছে। তারা বলেন, কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রতিপক্ষ রুহুল আমীন আফ্রিদী’র সমর্থকেরা তাদের উপর হামলা চালায়। তারা হামলাকারীদের বিচার দাবি করেন।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক-১- মোঃ মহসীন মোল্লা জানান, তার অনুসারিদের উপর হামলার ঘটনায় তিনি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে অপর সাংগঠনিক সম্পাদক-২- রুহুল আমীন আফ্রিদী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তিনি তার কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
এ ব্যাপারে এদিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল জানান, আহতরা সবাই শংঙ্কামুক্ত।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনাস্থলেই ছিলো পুলিশ। তাৎক্ষনিক পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেন। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেন নি।
+ There are no comments
Add yours