বিশেষ প্রতিনিধি॥
মৌসুম শুরুর আগেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে উঠতে শুরু করেছে লিচু। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝরে পড়ায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্রেতারা। বাজারে প্রতি ১শ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। বাজারে নতুন লিচু দেখে পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তবে লিচু পরিপক্ব না হলেও দাম বেশ চড়া বলে জানান ক্রেতারা। স্থানীয় কৃষি বিভাগ বলছে, এখনো লিচু পরিপক্ক হয়নি। লিচু পরিপক্বসহ আরো অন্তত দুই সপ্তাহের ওপর সময় লাগবে। অপরিপক্ব লিচু বিক্রি করা ঠিক নয়। তারা চাষিদের অপরিপক্ব লিচু বিক্রি না করতে পরামর্শ দিচ্ছেন। লিচুর রাজধানীখ্যাত জেলার বিজয়নগর উপজেলা আউলিয়া বাজারের লিচু চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রতিটি লিচু গাছে ব্যাপক মুকুলের সমারোহ ঘটে। চৈত্র মাসের শেষের দিকে ওইসব গাছে গুটি আসতে শুরু করে। এরপর অব্যাহত দাবদাহ আর অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে লিচুর গুটি। সেইসঙ্গে শুকিয়ে যাচ্ছে গুটির বোটা। প্রথম অবস্থায় গাছে গাছে মুকুলের সমারোহ দেখে খুশি হলেও এখন ফলন নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন লিচু চাষিরা। আলফাজ মিয়া জানান, ড়ত দুদিনের ঝড়েও লিচু গাছের বেশ ক্ষতি হয়েছে। অনেক অপরিপক্ষ লিচু গাছ থেকে মাটিতে পড়ে ঝরে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৭৮ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এরমধ্যে বোম্বে, পাটনাই ও চায়নাসহ অন্যান্য জাতের লিচু রয়েছে। এ উপজেলার লিচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে। শহরের মসজিদ রোডে লিচু কিনতে আসা ভাদুঘরের আবদুর রহমান বলেন, আমার ছেলে-মেয়েরা লিচু খুবই পছন্দ করে। মৌসুমি ফল লিচু বাজারে উঠায় ছেলে-মেয়েদের জন্য একশ লিচু ২৫০ টাকায় কিনেছি। বাজারে উঠা লিচু এখনো তেমন বড় হয়নি। নেই কোনো স্বাদও। আরো কিছুদিন গাছে থাকলে লিচু পুষ্ট হতো, স্বাদও পাওয়া যেত। মেড্ডা এলাকার আরব আলী বলেন, বাজারে নতুন ফল লিচু দেখে ছেলে-মেয়ের জন্য কিনলাম। লিচুর আকার তেমন বড় নয়, কিন্তু দাম চড়া।
+ There are no comments
Add yours